অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি। ফাইল চিত্র।
মিশন কাশ্মীর শেষ। রাম মন্দিরের ফয়সালা দ্রুত হওয়ার পথে। তাই পরের ধাপে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করা দাবিতে সরব হল সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ সংগঠন অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি।
দিল্লিতে আজ এই সংগঠনের বৈঠকে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়, তার অন্যতমই হল পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল। একাধিক সাধু সেখানে প্রস্তাব দেন, ভারত এ বার পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও আকসাই চিনকে পুনরায় নিজেদের কব্জায় আনুক। বলা হয়, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনে-দিনে খারাপ হচ্ছে। গোটা দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান ভেঙে পঞ্জাব, সিন্ধ, বালুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া— এই চার ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়াটা এখন সময়ের অপেক্ষা। অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি মনে করে, প্রতিবেশী দেশের এই দুর্বল দশার সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের হারানো এলাকা ফের দখল করুক ভারত। প্রয়োজনে সেনা নামিয়ে ফেরানো হোক দেশের জমি।
কাশ্মীর সংক্রান্ত পদক্ষেপের পরে ভারত যে এমন কিছু করতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চলতি সপ্তাহেই সে দেশের সংসদে ইমরান বলেছেন, সঙ্ঘ নেতা গোলওয়ালকরের দেখানো পথে হাঁটছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ফলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের তরফে অভিযানের আশঙ্কা রয়েছে পূর্ণ মাত্রায়। ইমরানের মতে, সেই পরিস্থিতিতে দু’টি রাস্তা খোলা থাকবে। এক, জবাব না-দিয়ে সেখান থেকে পাক সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া। অথবা শেষ বিন্দু অবধি লড়া। এর পরে পাক সাংসদদের আশ্বস্ত করে ইমরান বলেন, ভারতের যে কোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শেষ শক্তি দিয়ে লড়বে পাক সেনা।
প্রশ্ন হল, মোদী কী ভাবছেন? ইতিমধ্যে দু’বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো অস্ত্র ব্যবহার করে ফেলেছেন। সে ক্ষেত্রে পাঁচ বছর পর ভোটে যাওয়ার আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযানের মতো কিছু কাজ বিজেপির তুরুপের তাস হতে পারে বলেই
মনে করছেন বিজেপি নেতারাই। বিশেষ করে কাশ্মীর সংক্রান্ত বিলগুলি নিয়ে বলার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যখন তিনি জম্মু-কাশ্মীরের কথা বলেন, তখন তার মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশও থাকে। কাশ্মীরের জন্য তাঁরা প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। যা থেকে একটি বার্তা স্পষ্ট যে, তাঁর নজর রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তাতে আগামী দিনে ওই এলাকায় ভারতীয় সেনার অভিযান চালানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজেপির নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy