জিভে জল আনা চিংড়ি মাছের রেসিপি
গ্রীষ্মের পচা গরম থেকে মুক্তি পাওয়ার দিন শেষ। বৈশাখ, জৈষ্ঠ পেরিয়ে আষাঢ় মাসে বৃষ্টির আগমনে খানিকটা হলেও স্বস্তি পায় শহরবাসী। আসলে বৃষ্টির শহরের দু’রকম রূপ রয়েছে। এক দিকে যেমন কফি কাপ হাতে জানালার ধারে বসে বৃষ্টির শহরকে উপভোগ করা, আবার অন্যদিকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল-কাদার উৎপাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত। আবার বৃষ্টি মানেই দুপুর বেলায় নানান পদের রকমফের। খিচুড়ি, ইলিশ তো রয়েছেই। তবে চিংড়ির কিছু বাহারি পদে জমে যেতে পারে বৃষ্টির দুপুর। বৃষ্টির দিনে মন ভাল করতে আপনার জন্য রইল এমনই কয়েকটি জিভে জল আনা রেসিপি।
পোস্ত চিংড়ি
চিংড়ি মাছের পদ মানেই কি মালাইকারি বা ভাপা? একদমই নয়। এই বর্ষায় পোস্ত দিয়ে রেঁধে ফেলুন চিংড়ি। বৃষ্টির দিনে এই রেসিপি যে আপনার মন জয় করে নেবে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কী ভাবে বানাবেন এই লোভনীয় পোস্ত চিংড়ি?
উপকরণ
প্রণালী
প্রথমে চিংড়িমাছগুলি ভাল করে ধুয়ে বেশ কিছুক্ষণ নুন ও হলুদ মাখিয়ে রেখে দিন। এর পরে অল্প তেলে কম আঁচে মাছগুলি ভেজে নিন। পোস্ত, কাঁচা লঙ্কা ও পরিমাণ মতো জল দিয়ে ভাল করে একটি পেস্ট তৈরি করে রাখুন। কড়াইতে তেল গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো কালো জিরে ও কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে, তাতে ওই মিশ্রণটা ঢেলে ভাল করে কষাতে থাকুন। ধীরে ধীরে ওই কড়াইতে দিন পরিমাণ মতো নুন, লঙ্কা গুঁড়ো ও হলুদ। মশলা দেওয়ার পরে ফের ভাল করে মশলাটি কষাতে থাকুন। তেল বের হয়ে এলে, ওই মিশ্রণে সামান্য জল দিয়ে অল্প আঁচে ফোটাতে থাকুন। ফুটে উঠলে ভাজা চিংড়ি মাছগুলি কড়াইয়ে দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। অল্প আঁচে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে, ওপর থেকে অল্প কাঁচা সরষের তেল আর চেড়া কাঁচা লঙ্কা দিলেই তৈরি পোস্ত চিংড়ি।
কুচো চিংড়ির বড়া
এই পদটি বিশেষ করে তাঁদের জন্য, যাঁদের কাছে বৃষ্টির বিকেল মানেই চা-পকোড়া মাস্ট। কুচো চিংড়ি দিয়ে তৈরি বড়া যে কোনও বৃষ্টিমুখর সন্ধাকে ভাল করে দিতে পারে।
উপকরণ
প্রণালী
প্রথমে চিংড়ি মাছগুলি খুব ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এর পরে একটি বাটিতে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, আদাবাটা নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। চিংড়ি মাছের জল ঝরিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজের মিশ্রণটি মেশান। এর পরে তাতে রসুন, ময়দা, নুন, ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। একটি প্যানে তেল গরম করে তার মধ্যে চিংড়ির মিশ্রণটি অল্প অল্প করে বড়ার আকারে ভেজে নিলেই তৈরি কুচো চিংড়ির বড়া। কাসুন্দির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।
এই প্রতিবেদনটি সংগৃহীত এবং 'আষাঢ়ের গল্প' ফিচারের অংশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy