উত্তর মেচোগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি অসুস্থেরা। নিজস্ব চিত্র।
শিশুর অন্নপ্রাশন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভোজ খেয়ে অসুস্থ হলেন প্রায় ৬০ জন বাসিন্দা। বুধবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার সিদ্ধা-২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার গোপালনগর গ্রামের ঘটনা। অসুস্থদের মধ্যে ৪০ জনকে স্থানীয় উত্তর মেচগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি মেডিক্যাল ওই এলাকায় গিয়ে চিকিৎসা করে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় অনেককেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান খাবারে বিষক্রিয়ার জেরেই এমন ঘটনা। বিষক্রিয়ার কারণ জানতে পরীক্ষার জন্য খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।”
স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা শেখ হাসিবুল খানের এক সন্তানের অন্নপ্রাশন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বুধবার দুপুরে তাঁর আত্মীয়ও স্থানীয় গ্রামবাসীর ভোজ খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ দিন দুপুরে সেখানে আমন্ত্রিত প্রায় ৬০০ জন বাসিন্দা ওই ভোজ খেয়েছিলেন।
সন্ধ্যার পর থেকেই ওই গ্রামবাসীদের অনেকেরই পেটের ব্যথা ও বমি শুরু হয়। প্রথমে গ্রামবাসীরা অসুস্থদের স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করেন। কিন্তু অসুস্থের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় তাঁদের উত্তর মেচগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পাঁশকুড়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কানাই দোলাই বলেন, “ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা ৪০ জন অসুস্থ ছাড়াও গ্রামে নিজেদের বাড়িতে আরও প্রায় ২০ জনের চিকিৎসা করা হচ্ছে। অনেকেই এখন সুস্থ রয়েছেন।”
হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ
মানকর গ্রামীণ হাসপাতালের পরিষেবা উন্নত করার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করল বিজেপি। বুধবার এই বিক্ষোভটি হয় মানকর হাটতলা মোড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো, অস্ত্রোপচার শুরু করা, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি চালু করা, অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা বাড়ানো, গবাদি পশু ঢুকতে না দেওয়া-সহ একাধিক দাবি জানান বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের মধ্যে গরু, ছাগল, শুয়োর-সহ গবাদি পশু অবাধে ঘোরাফেরা করে। অনেক সময় ওয়ার্ডের মধ্যেও ঢুকে পড়ে। অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নরেশ কোনার-সহ বিজেপি নেতারা। তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দাবিগুলি ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy