Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

মৃত্যু হয়েছে ভেবেই কবর দিয়েছিলেন বাড়ির লোকজন, ১১ দিন পর ফিরলেন ‘মৃত’ মহিলা

হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয়েছে ভেবে কবর দিয়ে দেন বাড়ির লোকেরা। ১১ দিন মাটির নীচে কফিনবন্দি থাকার পর বাড়ি ফিরলেন ‘মৃত’ মহিলা।

Symbolic Image.

এ ভাবেও ফিরে আসা যায়। ছবি:সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ১৫:০৫
Share: Save:

মারা গিয়েছেন ধরে নিয়ে কবর দিয়ে দিয়েছিলেন পরিজনেরা। ১১ দিন পর বেঁচে ফিরলেন উঠলেন ‘মৃত’ মহিলা। কিছু দিন আগেই রোসানজেলা আলমাদিয়া নামে ৩৭ বছর বয়সি ওই মহিলার হার্ট অ্যাটাক হয়। সেই সময় বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। সংজ্ঞা হারিয়ে মাটিতেই পড়ে দীর্ঘ ক্ষণ পড়েছিলেন রোসানজেলা। বাড়ির লোকজনেরা এসে তাঁকে ওই অবস্থায় দেখেন। কিন্তু তত ক্ষণে রোসানজেলার শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। বাড়ির লোকজন ভেবে নিয়েছিলেন, ওই মহিলা মারা গিয়েছেন। তাই তড়িঘ়ড়ি কফিন কিনে এনে বাড়ির কাছের একটি কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়।

কবর দেওয়ার দু’দিন পরে জ্ঞান ফেরে রোসানজেলার। চোখ খুলে দেখেন তিনি কফিনে শুয়ে আছেন। কবরে শুয়ে ভেবে পাচ্ছিলেন না কী ভাবে তিনি এখান থেকে বেরোবেন। উঠে বসতে পারছিলেন না। ফলে শুয়ে থেকেই কফিনের ডালা খোলার চেষ্টা শুরু করেন। সেটা করতে গিয়ে নখ, হাত রক্তাক্ত হয় তাঁর। তবে রক্তক্ষয়ের পরে অবশেষে কফিন থেকে বেরোতে পারেন তিনি। এর পর শুরু হয় পাতাল থেকে বেরোনোর লড়াই। রক্তাক্ত হাত নিয়ে ধীরে ধীরে মাটি সরিয়ে উপরে উঠে আসেন তিনি। সেখান থেকে সোজা বাড়িতে যান।

কবর দিয়ে আসার ১১ দিন পর রোসানজেলাকে ফিরে আসতে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে ওঠেন সকলে। তবে রোসানজেলা সকলকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি জীবিত, মারা যাননি। কিন্তু জীবিত থাকা সত্ত্বেও রোসানজেলাকে কবর দিয়ে দেওয়া হল কেন? রোসানজেলার শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, রোসানজেলা আসলে কোমায় চলে গিয়েছিলেন। সেই সময় হৃদ্‌স্পন্দনের হার একেবারে কমে যায়। নাড়িস্পন্দনের হারও শ্লথ হয়ে যায়। সাধারণের পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়। ফলে রোসানজেলার বাড়ির লোকজন ধরে নিয়েছিলেন তিনি মারা গিয়েছেন। তবে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো এত কিছু হত না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy