হামলার চিহ্ন। ছবি: তাপস ঘোষ।
প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর করল জনতা। ঘটনাটি ঘটে চন্দননগর মহাকুমা হাসপাতালে রবিবার বিকেলে। পুলিশ জানায় মৃতের নাম রেশমা বিবি (১৯)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্দননগরের উর্দিবাজার কুঠির ঘাটের বাসিন্দা রেশমা শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ প্রসব বেদনা নিয়ে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন রাত ১০টা নাগাদ অস্ত্রোপচার করে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পরিবারের লোকজন জানান, তারপর ভালই ছিল রেশমা ও তাঁর সন্তান। রবিবার সকালে তাঁরা দেখতে এলে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন। পরিবারের অভিযোগ, এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ তাঁরা ফের হাসপাতালে রেশমাকে দেখতে আসেন। রেশমার কাছে গিয়ে তাঁরা দেখেন তাঁর স্যালাইন ফুরিয়ে গেছে। কতর্ব্যরত নার্সকে তা দেখতে অনুরোধ করেন তাঁরা। এরপর স্যালাইনের বোতল বদল করে দেওয়া হয়। রেশমার আত্মীয়দের অভিযোগ, সেই সময় রোগী জল চেয়েছিল। কিন্তু কর্তব্যরত আয়া বা অন্যরা তাঁকে জল দেয়নি। এরপর থেকেই রেশমার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। বিকেল ৫টা নাগাদ মারা যান রেশমা। রোগীর মৃত্যু খবর ছড়াতেই এলাকার বাসিন্দারা হাসপাতালে জড়ো হন।
মৃতার স্বামী মহম্মদ আলমের অভিযোগ, ‘‘আমার স্ত্রী সুস্থ হয়েই উঠেছিল। হাসপাতালের গাফিলতিতে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। এদিন বিকেলে যখন ওর যখন শরীর খারাপ হয়েছিল তখন ওকে যে দেখেছিলেন সেই চিকিৎসককে ডাকা হয়। কিন্তু তিনি আসেননি। অন্য একজন চিকিৎসক এলেও চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি তিনি। স্ত্রীর জন্য যে আয়া রাখা হয়েছিল সেও রোগীর উপর কোনও নজরই দেয়নি।’’
হাসপাতালের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে কয়েকশো জনতা হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করে। নার্সদের ঘরে ঢুকে চেয়ার-টেবিল উল্টে দেয়। টেলিফোনের তার ছিঁড়ে ফোন ভেঙে দেয়। খবর পেয়ে চন্দননগর থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালের সুপার শুভদীপ বন্ধ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই রেশমার মৃত্যু হয়। তবে রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ আয়া ঠিকমত দেখভাল করেনি। আয়ারা হাসপাতালের কর্মী নন। তবে মৃতের পরিবার অভিযোগ করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy