সব ত্বকের জন্য যেমন সমস্ত প্রসাধনী ঠিক নয়, তেমনটা প্রযোজ্য শ্যাম্পুর ক্ষেত্রেও। চুলের রকমফের অনুযায়ী শ্যাম্পুর বদলও স্বাভাবিক। তাই হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তেমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা ঠিক নয়। আবার হয়তো অনেক দিন ধরে বিশেষ একটি শ্যাম্পুই ব্যবহার করছেন। কিন্তু সেটি কি আপনার চুলের জন্য যথাযথ? হতেই পারে, অন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আরও ভাল ফল পাবেন। সে সব বিচার করেই শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। কোন চুলে কেমন শ্যাম্পু ঠিক, জেনে নেওয়া যাক।
ফাইন হেয়ার: চুল স্ট্রেট এবং রেশমের মতো হলে নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারেন ভলিউমাইজ়িং শ্যাম্পু। নাম থেকেই বোঝা যায় যে, এই ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের ঘনত্ব বাড়ে। আর একঢাল রেশম চিকন চুল কে না চায়!
কার্লি হেয়ার: কোঁকড়ানো চুল নিয়ে এক সময়ে অনেকের মধ্যে অস্বস্তির প্রবণতা দেখা গেলেও এখন কিন্তু কার্লি হেয়ার ট্রেন্ডে বেশ ইন। তবে কোঁকড়ানো চুলের সমস্যাও অনেক। স্বাভাবিকের চাইতে বেশ রুক্ষ্ম ও শুষ্ক লাগে এই ধরনের চুল। সে ক্ষেত্রে এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত যা চুলকে ময়শ্চারাইজ় করে। চুল নরম হয়।
ড্রাই হেয়ার: শুষ্ক চুলের জন্য ময়শ্চারাইজ়িং শ্যাম্পুর জুড়ি মেলা ভার। এতে চুল নরম হয়, প্রাণও ফেরে।
অয়েলি হেয়ার: তৈলাক্ত চুলে কিন্তু আর যা-ই হোক, ময়শ্চারাইজ়িং শ্যাম্পু ব্যবহার করা ঠিক নয়। বরং এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা দরকার, যাতে রয়েছে কেটোকোনাজ়ল, জ়িঙ্ক পাইরিথিয়োন ইত্যাদি।
কালার ট্রিটেড হেয়ার: হেয়ার কালার করার পরেই বদলে ফেলতে হয় শ্যাম্পু। সেই সময়ে এমন ধরনের শ্যাম্পুই ব্যবহার করা শ্রেয় যা চুলের রং নষ্ট করে দেয় না। কিন্তু সেই সময়েও মাথায় রাখতে হবে চুলের ধরন। কালার ট্রিটেড শ্যাম্পু চুলের ধরন অনুযায়ীও কিনতে পাওয়া যায়। বেছে নিতে পারেন তেমন শ্যাম্পুও। এতে চুলের রং বজায় রাখতে গিয়ে অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাবে না।
খুশকির সমস্যা: খুশকি শুধু মাত্র শুষ্ক স্ক্যাল্পের সমস্যা নয়। অনেক ক্ষেত্রে তৈলাক্ত চুলেও খুশকির প্রবণতা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে শ্যাম্পু নির্বাচন করা উচিত ভেবেচিন্তে। খুশকির কারণ কী, তা জেনে তবেই ভাল মানের অ্যান্টি-ড্যানড্রফ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
সপ্তাহে কত বার? সপ্তাহে কত বার শ্যাম্পু করা দরকার, তা অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে জীবনযাপন ও পেশার উপরে। যাঁদের কড়া রোদে, আলোয় বা চড়া মেকআপের মধ্যে দিন কাটাতে হয়, তাঁরা এক দিন অন্তর শ্যাম্পু করতেই পারেন। স্ট্রেট হেয়ারে সপ্তাহে দু’বার শ্যাম্পু করতে পারেন। কিন্তু তৈলাক্ত বা শুষ্ক চুলে সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার বার শ্যাম্পু করা শ্রেয়। আবার বৃষ্টিতে ভিজে এলে বা জিম থেকে ফিরে শ্যাম্পু করে নেওয়াই ভাল।
ড্রাই শ্যাম্পু: চুলের তেল চিটচিটে ও ময়লা ভাব এড়াতে এবং হাতে সময় কম থাকলে অনেকেই ড্রাই শ্যাম্পু বেছে নেন। কর্ন বা রাইস স্টার্চের বেস দিয়ে তৈরি ড্রাই শ্যাম্পু গুঁড়ো হয়। জল দিয়ে ধোয়ার ব্যাপারও থাকে না। তাড়াহুড়োয় বা শেষ মুহূর্তে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ড্রাই শ্যাম্পু করতে পারেন। তবে রোজ এই শ্যাম্পুর ব্যবহার স্ক্যাল্পে সমস্যা তৈরি করে।
কন্ডিশনিং: শ্যাম্পু করে চুল ধুয়েই কিন্তু কাজ শেষ নয়। দরকার কন্ডিশনিংয়েরও। তাই কন্ডিশনারও বাছতে হবে চুলের ধরন অনুযায়ী। শুধুই জট ছাড়ানো নয়, কন্ডিশনার চুলকে মজবুত করে।
শ্যাম্পু করলে চুল ছাড়াও ভাল থাকে শরীর-মন। তাই চুলের পরিচর্যা শুরু হোক শ্যাম্পু দিয়েই।
মডেল: হিয়া মুখোপাধ্যায়, অন্তরা স্বর্ণকার; ছবি: দেবর্ষি সরকার, সুপ্রতিম চট্টোপাধ্যায় (অন্তরা); মেকআপ: অভিজিৎ পাল; লোকেশন: বিবনি, কসবা নিউমার্কেট
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy