পেঁয়াজি।
অতিমারির দৌলতে ‘রেনি ডে’-র মাহাত্ম আর বিশেষ নেই। নেই স্কুল ছুটির আনন্দ। এখন যে রোজই বা়ড়িতে থাকার দিন। তবু কিছু জিনিস ছাড়া বাঙালির বৃষ্টির দিন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তার মধ্যে একটি নিঃসন্দেহে খিচুড়ি-বেগুন ভাজা। কিন্তু বাড়িতে বেগুন না থাকলে কী করবেন? ধরা যাক আজও তেমন একটি দিন। সেই কথা মাথায় রেখে আপনার জন্য রইল একটি নিরামিষ ও একটি আমিষ পকোড়ার রেসিপি। চটজলদি বানিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন খিচুড়ি বা ডাল-ভাতের সঙ্গে।
পেঁয়াজি:
উপকরণ—
১) কুচি কুচি করে কাটা পেঁয়াজ (১ কাপ)
২) টুকরো করে কাটা আখরোট (১/৪ কাপ)
৩) ধনেপাতা কুচি (১ টেবিল চামচ)
৪) কাঁচা লঙ্কা কুচি (১ চা চামচ)
৫) বেসন (১/২ কাপ)
৬) নুন (পরিমাণ মতো)
৭) তেল (পরিমাণ মতো)
প্রণালী—
কুচি কুচি করে কাটা পেঁয়াজগুলি একটি বড় পাত্রে নিয়ে নুন ও বেসন দিয়ে মেখে নিন। এর পর তার মধ্যে একে একে ধনেপাতা, আখরোট, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মাখতে থাকুন যতক্ষণ না বেসন সব কিছুতে ভাল করে লেগে যাচ্ছে। এবার কড়াইতে একটু তেল দিয়ে গরম করে নিন। তেলের মধ্যে গোল গোল করে ছেড়ে দিন মিশ্রণটি। পেঁয়াজিগুলি কড়া কড়া করে ভেজে তুলে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন সসের সঙ্গে।
লোটে মাছের পকোড়া:
উপকরণ—
১) লোটে মাছ (৮টি)
২) পেঁয়াজ কুচি (১টি পেঁয়াজ)
৩) রসুন কুচি (সামান্য)
৪) ধনেপাতা কুচি
৫) কাঁচা লঙ্কা কুচি
৬) নুন (স্বাদ মতো)
৭) হলুদ (পরিমাণ মতো)
৮) বেসন (পরিমাণ মতো)
৯) সর্ষের তেল
১০) বিস্কুটের গুঁড়ো
প্রণালী—
প্রথমে লোটে মাছগুলির মাথা ফেলে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। তার পর বেশ খানিকক্ষণ ধরে এমন ভাবে সিদ্ধ করতে হবে, যাতে মাছের ভিতরেও জল ঢুকে যায়। মাছগুলি ঠান্ডা হয়ে গেলে কাঁটা বেছে ফেলে দিতে হবে। এবার একটি বাটিতে লোটে মাছগুলির সঙ্গে নুন, হলুদ, বেসন, ধনেপাতা কুচি, লঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি মাখিয়ে নিন। গোল করে সেখান থেকে পকোড়ার মতো মণ্ড তুলে নিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন কিছুক্ষণের জন্য। সেই সময়ে কড়াইতে তেল ঢেলে গরম করে নিন। এবার গরম তেলে লোটে মাছের পকোড়াগুলি ভেজে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy