নাক ডাকার সমস্যা নিয়ে অবহেলা করলে বিপদ বাড়বে। ছবি: আইস্টক।
ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (হু)-এর হিসেব বলে, ১০ জন পুরুষের মধ্যে ৪ জন নাক ডাকেন৷ যত বয়স ও ওজন বাড়ে, নাক ডাকাও পাল্লা দিয়ে বাড়ে৷ মেয়েরাও এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই৷
তবে অধিকাংশ নাক ডাকাই নিরীহ৷ অর্থাৎ যিনি নাক ডাকছেন তাঁর বিরাট কোনও সমস্যা নেই৷ কিন্তু যদি অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া সিনড্রোমের জন্য নাক ডাকে, তা হলে তড়িঘড়ি চিকিৎসা করানো জরুরি৷
নাক ডাকে কেন
বয়স বাড়লে কমবেশি অনেকেরই নাক ডাকে৷ ওজন বাড়লে সমস্যা বাড়ে। অ্যালার্জি, নাকবন্ধের ধাত, নাকে পলিপ, নাকের মাঝের পর্দা বাঁকা ইত্যাদি থাকলে কম বয়সেও নাক ডাকতে পারে৷ এই সব সমস্যার কারণে শিশুরাও নাক ডাকে অনেক সময়৷ শোওয়ার আগে বেশি মদ খেলে বা ঘুমের ওষুধ খেলে নাক ডাকার পরিমাণ বাড়ে। ধূমপায়ীদের দ্বিগুণ আশঙ্কা থাকে নাক ডাকার৷ অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া সিনড্রোম থাকলে ঘুমের সময় শরীরে কম অক্সিজেন যায়, শ্বাসকষ্টে ঘুম ভেঙে যায় বার বার৷ চিকিৎসা না করলে সারা দিন ক্লান্তি, কাজের মাঝে ঘুমিয়ে পড়া থেকে শুরু করে ভবিষ্যতে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে৷
চিকিৎসা
অধিকাংশ নাক ডাকাই নিরীহ৷ ফলে বেড পার্টনার চূড়ান্ত অশান্তি শুরু না করলে সমাধানের কথা ভাবেন না কেউ৷ তবে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া সিনড্রোম থাকলে, নিজের এত রকম সমস্যা হতে থাকে যে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে দেরি হয় না৷ ওজন বেশি থাকলে তা কমাতে হয়, শ্বাসের পথে বাধা থাকলে তারও চিকিৎসা হয়৷ কখনও আবার এত কিছুর পরও ঘুমনোর সময় সি–প্যাপ নামের যন্ত্রের সাহায্যে শরীরে অক্সিজেনের জোগান বজায় রেখে সামলাতে হয় সমস্যা৷
অ্যালার্জি বা নাকের কোনও সমস্যার জন্য নাক ডাকলে নাক–কান–গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো চলে রোগ সারিয়ে ফেললে বা নিয়ন্ত্রণে রাখলে নাক ডাকা কমে যায় বা সেরে যায়৷ অন্যান্য ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়৷
ঘুমের ওষুধের অভ্যাস আস্তে আস্তে ছাড়ার চেষ্টা করুন৷
নিয়ম
ওজন ও ভুঁড়ি বেশি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ডায়েটিং ও ব্যায়াম করে তা কমানোর চেষ্টা করুন৷ কয়েক কেজি কমাতে পারলে নাক ডাকা অনেক কমে যাবে৷ ছিপছিপে হয়ে যেতে পারলে বা ভুঁড়ি কমাতে পারলে তো কথাই নেই৷ রাতের দিকে খুব বেশি মদ খেলে নাক ডাকা বেড়ে যেতে পারে৷ কাজেই মদ খাওয়া কমান, ছেড়ে দিতে পারলে খুবই ভাল৷ প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷ এতে শরীর–স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে৷ ধূমপান কমানোর চেষ্টা করুন৷ এটিও ছেড়ে দিতে সক্ষম হলে এক কাজে অনেক উপকার পাবেন। ঘুমের ওষুধের অভ্যাস আস্তে আস্তে ছাড়ার চেষ্টা করুন৷ স্বাভাবিক ঘুম ঘুমনোর পন্থা শিখে নিন বিশেষজ্ঞের কাছে৷ চিত বা উপুড় হয়ে না শুয়ে পাশ ফিরে ঘুমোন৷ খাটের মাথার দিকের পায়ার নীচে কাঠের ব্লক বা ইট দিয়ে একটু উঁচু করে দিতে পারেন৷ ঘুমের সময় মাথা থেকে পিঠ পর্যন্ত শরীরের বাকি অংশের চেয়ে একটু উঁচুতে থাকলে নাক কম ডাকে৷ নাকের ভিতরটা যাতে শুকিয়ে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখুন৷ শোওয়ার আগে স্টিম নিলে বা নাক ভেজা রাখতে নির্দিষ্ট ড্রপ দিলে সমস্যা কম হয়৷ বালিশে দু’ফোঁটা ইউক্যালিপ্টাস অয়েল দিয়ে দেখতে পারেন উপকার হয় কি না৷ নাক বন্ধ থাকলে ন্যাজাল স্ট্রিপের সাহায্য নেওয়া যায়৷ এর জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন৷ কোনও ভাবেই কোনও কাজ না হলে নাক–গান–গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy