ধাপায় পুরসভার গ্যারাজে চুরির চেষ্টা, কোপ রক্ষীকে

বহু চেষ্টাতেও চুরি রোখা যায়নি। কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে বা বন্দুকধারী রক্ষী রেখেও সম্ভব হয়নি। শুক্রবার রাতেও হানা দিয়েছিল চোর, যাকে আটকাতে গিয়ে আহত হলেন এক নিরাপত্তাকর্মী। ধাপায় কলকাতা পুরসভার গ্যারাজে ঘটেছে এই ঘটনা। ওই নিরাপত্তাকর্মীকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। শনিবার প্রগতি ময়দান থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুরসভার তরফে। যদিও কেউ ধরা পড়েনি।

শহরে পুরসভার এমন ১০টি গ্যারাজ রয়েছে। তারই একটি ধাপার গ্যারাজ। পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কাজ হয় সেখানে। পাশাপাশি, পুরসভার পিক-আপ ভ্যান থেকে ডাম্পার, রাখা হয় এখানে। গ্যারাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এ দিন জানান, মাঠপুকুরের কাছে কয়েক বিঘার ওই গ্যারাজে নতুন গাড়ি এলেই চোরের উৎপাত বাড়ে। কাঁটাতার পেরিয়ে বা পাঁচিলের ফাঁক গলে ঢুকে পড়ে তারা। গাড়ির যন্ত্রাংশ বা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে পালায়। চুরি রুখতে প্রায় ৪৩ জন চুক্তিভিত্তিক রক্ষী আছেন। আছেন বন্দুকধারী রক্ষীও।

শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ চোরেরা হানা দেয়। নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে ইট ছোড়া হয়। অনাদি ত্রিপাঠী নামে এক বন্দুকধারী রক্ষী এক জনকে ধরে ফেললে তাঁর পিঠে ছুরির কোপ বসিয়ে চোর চম্পট দেয়। সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এসে অনাদিকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। পরে প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।

এই ঘটনায় আতঙ্কিত গ্যারাজের অন্য রক্ষীরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন ধরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কেন চোর ঢোকে, তা নিয়ে তাঁদের চাপ দেওয়া হলেও কাউকে ধরার ব্যাপারে কিছুই করা হয় না। পুলিশও বিশেষ সক্রিয় নয় বলে তাঁদের দাবি। যদিও পুলিশের বক্তব্য, পুরসভা থেকে অভিযোগ পেলেই পদক্ষেপ করা হয়। এই গ্যারাজে ধাপার বর্জ্য এনে জমা করা হয়। ভিতরে ঢুকে সেখান থেকে নানা সামগ্রী নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন অনেকে। যদিও এমন নিষিদ্ধ জায়গায় কারও প্রবেশাধিকার নেই বলেই খবর। তবু কিছুই করা হয় না বলে অভিযোগ নানা মহলের।