উজ্জ্বল সবুজ ক্যাপসিকাম শুধু তরকারির স্বাদ বাড়ায় না, বাড়তি গন্ধও যোগ করে। সবচেয়ে বড় কথা তার গুণের কোনও কমতি নেই। ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবারে ভরপুর ক্যাপসিকাম চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
ক্যাপসিকামে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস এবং ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। শরীর ভাল রাখতে তা অত্যন্ত কার্যকর। এতে থাকা ভিটামিন এ, লুটেইন চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। ভিটামিন বি, কে এবং রকমারি খনিজও মেলে এতে।
এত যার উপকার সেই সব্জিটিকি কি পাত থেকে বাদ দিলে চলে? এদিকে মুখে পড়লেই সন্তান কি তা ফেলে দেয়? কোন উপায়ে ক্যাপসিকাম খাওয়ানো যায়?
ক্যাপসিকামের স্যুপ: কড়াইয়ে তেল গরম হতে দিন। রসুন কুচি, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, টম্যাটো নাড়াচাড়া করে নিন। যোগ করুন স্বাদমতো নুন। সমস্ত উপকরণ থেকে কাঁচা গন্ধ চলে গেলে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। এবার কড়াইয়ে সব্জি সেদ্ধ করা জল বা ব্রথের সঙ্গে মিশ্রণটি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। যোগ করুন গোল মরিচের গুঁড়ো। ডিমের সাদা অংশ উপর থেকে ছড়িয়ে দিয়ে মিনিট পাঁচেক হতে দিন। একদম শেষে মাখন দিয়ে পরিবেশন করুন। উপর থেকে ডিমের সাদা অংশ, মাখন, গোল মরিচের গুঁড়ো থাকলে এতে ক্যাপসিকাম আছে চট করে বোঝা যাবে না। এ ভাবেও কৌশলে সব্জিটি খাওয়াতে পারেন সন্তানকে।
মাংস, ডিমে যোগ করুন: মুরগির মাংস, ডিম কষা বা আলুরদম রান্নার সময় মিশিয়ে দিন ক্যাপসিকাম। ছোট করে কাটলে দ্রুত গলে যাবে। মুখে পড়বে না। মশলার সঙ্গে কষিয়ে নিলে খাবারের স্বাদও বাড়বে।
পুর ভরা ক্যাপসিকাম: ক্যাপসিকামের বৃন্তের অংশটি উপর থেকে এমন ভাবে কেটে নিন যাতে বাকি ক্যাপসিকামটি বাটির মতো হয়ে যায়। ভিতরের দানা এবং পাতলা অংশ পরিষ্কার করে নিন। এবার মাংসের কিমা, সুইট কর্ন, পনির বা পছন্দের যে কোনও জিনিস দিয়ে সুস্বাদু পুর তৈরি করে ক্যাপসিকামের বাটিতে ভরে দিন। উপর থেকে গ্রেট করা চিজ় যোগ করুন। ক্যাপসিকামের গায়ের তেল ব্রাশ করে ওভেনে গ্রিল করে নিন বা এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করে নিন। জিনিসটি দেখতে এতটাই আলাদা হবে যে, ছোটরা চেটেপুটে খেয়ে নেবে।