পোষ্যকে যত খুশি আদর করুন, শুধু মানুন কিছু নিয়ম। ছবি: ফ্রিপিক।
পোষ্যকে আদর করতে গেলেই হাঁচি-কাশি শুরু হয়ে যায়? হাঁচি থামতেই চায় না, ত্বকেও র্যাশ-ফুস্কুড়ি বেরিয়ে যায় অনেকের। আর পোষ্যের লোম নাকে গেলে তো কথাই নেই। অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দেবে সঙ্গে সঙ্গে। এইসবই হয় ‘পেট অ্যালার্জি’-র কারণে। অ্যালার্জির ধাত যদি থাকে, তা হলে অনেক সময়ে দেখা যায় পোষ্যের লোম, থুতু-লালা থেকে ‘অ্যালার্জিক রাইনিটিস’-এর উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ত্বকে অ্যালার্জির লক্ষণও দেখা দেয় অনেকের যাকে ‘অ্যালার্জিক ডার্মাটাইটিস’ বলা হয়।
পোষ্যের সঙ্গে থেকেও ‘পেট অ্যালার্জি’ থেকে দূরে থাকা যায়। মেনে চলুন কিছু নিয়ম।
১) অ্যালার্জি আছে মানে পোষ্যের থেকে দূরে থাকবেন তা তো নয়। বরং পোষ্যকে আদর করে হাত ধুয়ে নিন। অবশ্যই সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুতে হবে। স্যানিটাইজ়ারও রাখতে পারেন হাতের কাছে। যত বার পোষ্যের গায়ে হাত দেবেন, ততবারই হাত স্যানিটাইজ় করতে হবে। ভাল করে না ধুয়ে সেই হাত চোখে-মুখে দেবেন না।
২) পোষ্যকে ভাল করে স্নান করাতে হবে। কুকুর বা বিড়ালের জন্য শ্যাম্পু পাওয়া যায়। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তেমন শ্যাম্পু কিনে রাখুন।
৩) যদি অ্যালার্জির ধাত বাড়াবাড়ি রকম থাকে, তা হলে পোষ্যের কাছে যাওয়ার সময়ে মাস্ক পরে নিন। তাতে নাকে লোম বা অ্যালার্জেন ঢুকবে না।
৪) অ্যালার্জি থাকলে পোষ্যের বিছানা আলাদা করুন। আপনার বিছানা বা বালিশ ব্যবহার করতে দেবেন না। পোষ্যের লোম উড়লেও অ্যালার্জি বেড়ে যায় অনেকের। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখা, এয়ার ফিল্টার ব্যবহার করা ভাল।
৫) পোষ্যের শরীরে যাতে জীবাণু বাসা না বাঁধে সেদিকে নজর দিতে হবে। কুকুর হোক বা বিড়াল, এদের লোমের মধ্যে ছোট ছোট পোকা জন্মায়। তাই পোষ্যকে পরিচ্ছন্ন তো রাখতেই হবে, পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জীবাণুমুক্ত রাখার উপায়ও জেনে নিতে হবে।
৬) পোষ্যকে আদর করার সময়ে সতর্ক থাকুন। ওকে আপনার নাক-মুখ চাটতে দেবেন না। পোষ্যের লালা থেকে অ্যালার্জি বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে মুখে মাস্ক পরে নিতে পারেন, অথবা ফেস-শিল্ড লাগিয়ে নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy