শিশুকে কোন কোন জিনিস কিনে দেবেন না? ছবি: ফ্রিপিক।
অবুঝ বায়না, আবদার বা জেদের মুখোমুখি পড়তে হয় কমবেশি সকল অভিভাবককেই। তার মোকাবিলাও করার চেষ্টা করেন তাঁরা নিজেদের মতো করে। শিশুকে শান্ত রাখতে তার মনোমতো জিনিসও কিনে দিতে শুরু করেন। আর এখান থেকেই শুরু হয় সমস্যা। আসলে বায়না এবং আবদার একই রকম শোনালেও তার অর্থ আলাদা। কোনও কিছু কিনে দিতেই হবে— এই মনোভাব থেকে বাচ্চা বায়না জোড়ে। আর বায়না পরিণত হয় জেদে। চিৎকার, কান্নাকাটির মাধ্যমে নিজেদের রাগ ও চাহিদা প্রকাশ করতে থাকে। তাই শিশুকে কিছু কিনে দেওয়ার আগে ভাল করে বিবেচনা করে নিন। আর এমন কিছু জিনিস আছে যা কখনওই শিশুকে দেওয়া উচিত নয় বা সেই সব জিনিসের প্রলোভন দেখানোও ঠিক নয়। সেগুলি কী কী জেনে রাখুন।
শিশুকে কী কী কিনে দেবেন না?
১) সস্তার প্লাস্টিকের খেলনা কখনওই শিশুকে কিনে দেবেন না। গবেষণা বলছে, প্লাস্টিকের খেলনায় অ্যান্টিমনি, বেরিয়াম, ব্রোমিন, ক্যাডমিয়াম, সিসার, সেলেনিয়াম-সহ বিভিন্ন বিপজ্জনক রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা শিশুর শরীরে দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে। খেলনা হাতে পাওয়া মাত্রই তা মুখে দেয় অনেক শিশুই। খেলনায় থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক তখন লালার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
২) গ্যাজেট বা বৈদ্যুতিন ডিভাইস ভুলেও দেবেন না। এমনিতেও এখনকার শিশুদের মোবাইল দেখার প্রবণতা অনেক বেশি। মনোমতো বৈদ্যুতিন ডিভাইস পেলে সারা দিন সেটি নিয়েই থাকবে শিশু। ফলে চোখের বারোটা তো বাজবেই, ঘুমের সমস্যা শুরু হবে। ছোট থেকেই মনঃসংযোগের অভাব দেখা দেবে।
৩) কস্টিউম জুয়েলারি শিশুদের জন্য ঠিক নয়। মা বা বাড়ির বড়দের দেখে অনেক খুদেই কস্টিউম জুয়েলারি পরার বায়না করে। এই ধরনের গয়না শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তা ছাড়া এই ধরনের ধাতুতে থাকা ক্যাডমিয়াম ও লেড শিশুর স্বাস্থ্যের জন্যও বিপজ্জনক।
৪) চিপ্স, চকোলেট, নরম পানীয় বা বেশি চিনি দেওয়া খাবার কখনওই শিশুকে দেবেন না। যতই বায়না করুক, ঘরের হালকা খাবারই খাওয়াতে হবে। না হলে ছোট থেকেই ডায়াবিটিস বাসা বাঁধবে শরীরে। ওজনও অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকবে।
৫) সন্তানের মন ভুলিয়ে রাখতে ভিডিয়ো গেম কিনে দেন অনেক অভিভাবকেরাই। ওই ধরনের ভিডিয়ো গেমে কী কনটেন্ট রয়েছে, প্রাপ্তমনস্কদের কোনও বিষয় রয়েছে কি না তা আগে যাচাই করে নেওয়া জরুরি। তার চেয়ে বরং বিভিন্ন ব্রেন গেম কিনে দিন, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের চর্চা করাও ভাল। এতে বুদ্ধিও বাড়ে, মনও ভাল থাকে।
৬)এমন কোনও পোশাক কিনে দেবেন না, যা শিশুর জন্য আরামদায়ক নয়। দেখতে ভাল বলেই সিন্থেটিক বা জর্জেটের পোশাক পরালে শিশুর ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। হালকা নরম সুতির পোশাকই কিনে দেবেন শিশুকে।
৭) খুব দামি উপহার, মূল্যবান কিছু ছোট থেকে না দেওয়াই উচিত। এতে শিশুর চাহিদা বেড়েই চলবে। টাকাপয়সার মূল্য বুঝতে পারবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy