শিশুরা যেমন গোলগাল হলে দেখতে ভাল লাগে, তেমনই সারমেয় শাবকও নাদুসনুদুস হলে দৃশ্যত ভাল লাগে। মনুষ্যশিশু হোক বা কুকুরছানা, একটু-আধটু ওজন বেশি হলে এক রকম। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যদি ওজন তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে, তা হলে সাবধান হতে হবে বইকি! মানুষের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মেদ এবং ওজন যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, ব্যতিক্রম নয় সারমেয়রাও।
আমেরিকার অ্যাসোসিয়েশন ফর পেট ওবেসিটি প্রিভেনশন-এর দেওয়া তথ্য বলছে সে দেশের ৬০ শতাংশ পোষ্য কুকুর স্থূলত্ব এবং অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছে। পোষ্যকে আদর করে খাওয়ানোর ফলে এ দেশেও বহু বাড়িতে সারমেয়র ওজন প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে যায়। এতে তাদের হাঁটাহাটি, চলেফেরায় সমস্যা হতে পারে। দেখা দিতে পারে স্থূলতা সংক্রান্ত সমস্যা। সারমেয়র ওজন বেড়ে গেলে কী করবেন?
১. ওজন বৃদ্ধির নানা কারণ থাকতে পারে। বেশি পরিমাণ খাওয়া, খাদ্যতালিকায় ভুল, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা কোনও অসুখ। প্রথমেই জানা দরকার, কেন ওজন বাড়ছে। এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারেন পশু চিকিৎসক। ওজন বৃদ্ধির সঠিক কারণ চিহ্নিত করা গেলে ওজন বশে রাখাও সহজ হবে।
আরও পড়ুন:
২. পোষ্যের সামনে খাবার ধরলে সে খেয়ে নেবে। পছন্দের খাবার হলে তো কথাই নেই। সে খাচ্ছে বলে ইচ্ছমতো খাবার দিয়ে গেলেই বিপত্তি। অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে ওজন বাড়াই স্বাভাবিক। তাই খাবার দিতে হবে মাপ বুঝে। উচ্চতা এবং ওজন অনুযায়ী ক্যালোরির মাপ নির্ধারণ করতে হবে।
৩. পোষ্য কথা শুনছে, ভাল কাজ করছে বলে পুরস্কার দিলেন। কিন্ত সেটা খাবার না হয়ে অন্য কিছু হলেই ভাল। পোষ্য খেতে ভালবাসে বলে পুরস্কার হিসেবে চকোলেট বা উচ্চ ক্যালোরির খাবার দিলে, সারমেয়র স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। বদলে তার সঙ্গে খেলা করা, তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া ভাল উপায় হতে পারে।
৪. পোষ্যকে মাপমতো জল খাওয়ানো জরুরি। অনেক সময় ক্ষিদে বা তেষ্টার মধ্যে তফাত করতে পারে না পোষ্যেরা। বিষয়টি খেয়াল রাখা দরকার। কখন সে খাবার চাইছে কখন জল সেটাও বাড়ির লোককে বুঝতে হবে।