শারীরিক কসরত করতে উৎসাহী হবেন বয়স্কেরা, শিখে নিন সহজ কিছু কৌশল। প্রতীকী ছবি।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যা মাথাচাড়া দিতে থাকে। উচ্চ রক্তচাপও চোখ রাঙায়। সঙ্গে যোগ হয় মানসিক অবসাদ। আর সেই সঙ্গে বাতের ব্যথা-বেদনা। সাংসারিক যে সব কাজ এক সময় খুবই ভাল লাগত, তা করতেও মন চায় না। বাড়ির বয়স্ক অভিভাবকেরা এমন সমস্যায় ভোগেন বেশি। এর থেকে রেহাই পেতে গেলে দরকার কিছু শারীরিক কসরত আর ব্যায়াম। তাতে শরীরের পাশাপাশি মনও ভাল থাকবে।
কিন্তু সমস্যা হল বাড়ির বয়স্কদের অনেকেই শরীরচর্চা করতে রাজি হন না। অবসর জীবনে অবসাদ আর অনিচ্ছা ঘিরে ধরে। সে ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে হবে বাড়ির লোকজনকেই। কী ভাবে বয়স্ক অভিভাবকদের শরীরচর্চা করতে উৎসাহ দেবেন তা জেনে নিন।
১) গতানুগতিক ব্যায়াম বা যোগাসন করতে বললে হয়তো তাঁরা রাজি হবেন না। তাই অন্য পন্থা নিন। রোজ সকালে হাঁটা দিয়েই শুরু হোক। বয়স্ক অভিভাবককে নিয়ে আপনিও যান। তাঁর বয়সি আরও কয়েক জনকেও রাজি করান। সকলে একসঙ্গে মিলে গেলে আনন্দও হবে, শারীরিক কসরতের আগ্রহও তৈরি হবে।
২) বয়স ৫০ থেকে ৬০-এর মধ্যে হলে হালকা জগিং বা সাইকেল চালানোতেও উৎসাহ দিতে পারেন। হয়তো কম বয়সের স্মৃতি তাঁর ফিরে আসবে। শরীর নাড়াচাড়াও হবে আবার মনও ভাল থাকবে।
৩)কাছাকাছির মধ্যে কোনও জুম্বা ক্লাসে ভর্তি করে দিতে পারেন। বয়স্কদের নানা রকম শারীরিক কসরত শেখানো হয় সেখানে। অনেকটা সময় সেখানে কাটবে তাঁদের। অনেকের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হবে। মনও ফুর্তিতে থাকবে।
৪) ছোট ছোট খেলাধূলার আয়োজন করুন বাড়িতেই। ছোটরা থাকলে তাদের সঙ্গে নিন। ক্রিকেট, ফুটবল বা টেনিসের আয়োজন করুন। ছোটদের সঙ্গে খেলতে উৎসাহী হবেন বয়স্কেরাও। তবে হার্টের রোগ বা আর্থ্রাইটিস থাকলে যেন খুব বেশি দৌড়দৌড়ি না করেন, তা খেয়াল রাখতে হবে।
৫) বাড়িতে পোষ্য থাকলে সকাল-বিকেলে তাকে নিয়ে হাঁটতে যেতে বলুন। একটা স্মার্ট ওয়াচ কিনে দিয়ে তার ব্যবহার বুঝিয়ে দিন। দিনে কত পা হাঁটছেন তিনিই বুঝতে পারবেন।
৬) ফুসফুসের জোর বাড়াতে শ্বাসের ব্যায়াম করা খুব জরুরি। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত দেহের দু’পাশে রাখুন। চোখ বন্ধ করে দু’হাত ধীরে ধীরে মাথার উপরে তুলুন। হাত তোলার সঙ্গে সঙ্গে খুব ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। আবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দু’হাত নামিয়ে আনুন। এই ভাবে ব্যায়ামের পদ্ধতি শিখিয়ে দিন। বাড়ির সকলে মিলে সকাল সকাল এই ব্যায়াম অভ্যাস করুন। এই ব্যায়াম শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy