গরমের সময় এলেই পোষ্যদের অস্থিরতা বাড়ে। নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। মানুষের মতো পোষা কুকুরেরও কিন্তু হিট স্ট্রোক হতে পারে। বিশেষ করে যাদের গায়ে লোমের আধিক্য রয়েছে, তাঁদের গরমে কষ্ট বেশি হয়। সে কারণেই এই সময়টাতে পোষ্যের একটু বেশিই খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের। কী খাওয়াবেন আর কী নয়, ঘরের তাপমাত্রা ঠিক কত থাকলে ভাল হয়, এই সব খুঁটিনাটি জেনে রাখা ভাল।
পোষ্যের ডায়েট
প্রথমেই আসা যাক, পোষ্যের খাওয়াদাওয়ার প্রসঙ্গে। গরমে পর্যাপ্ত জল খাওয়াতেই হবে, না হলে পোষা কুকুরের শরীরেও ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু মাংস বা ডগ বিস্কিট নয়, কুকুরের স্বাস্থ্যের জন্য আরও অনেক কিছুই প্রয়োজন। আপনার মতোই পোষ্যেরও চাই ব্যালান্সড ডায়েট। গরমে বেশি করে ফল খাওয়ালে ভাল। শসা, তরমুজের মতো ফল, যাতে জলের পরিমাণ বেশি, সেগুলি খাওয়াতে পারেন পোষ্যকে।
আরও পড়ুন:
পশুরোগ চিকিৎসক চন্দ্রকান্ত চক্রবর্তীর মত, আম, কলা, আপেলের মতো ফল কুকুরকে দেওয়া যেত পারে। তবে গোড়াতেই খুব অল্প পরিমাণে দিয়ে দেখতে হবে, কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে কি না। যদি অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা না দেয় বা পেটের সমস্যা না হয়, তা হলে ফল খাওয়াতে পারেন। ব্লুবেরিও খুব উপকারী। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন এ, কে ও সি কুকুরদের হজমশক্তি ভাল করে, দৃষ্টি উন্নত করে।
কী কী খাওয়াবেন না
খেয়াল রাখবেন, পোষ্য যেন আঙুর না খেয়ে ফেলে। রসালো এই ফলটি আপনার প্রিয় হতে পারে, কিন্তু পোষা কুকুরের জন্য তা ঠিক নয়। আঙুর বেশি খেলে কুকুরের কিডনির রোগ দেখা দিতে পারে।
একই ভাবে, টম্যাটো, পেঁয়াজ, রসুনও খাওয়ানো যাবে না পোষা কুকুরকে।
চকোলেট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার একেবারেই দেবেন না।
ঘরের তাপমাত্রা কত থাকলে ভাল?
পোষ্য যে ঘরে থাকবে সেখানকার তাপমাত্রা ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ভাল হয়। গরমে পোষ্যেরা তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। খিদে কমে যায়, ঝিমুনি বাড়ে। তাই পোষ্যকে যে ঘরে রাখবেন সেই ঘরটি যেন ঠান্ডা থাকে, তা দেখতে হবে। যে জানলা দিয়ে বেশি রোদ আসে, সেখানে পোষ্যের শোয়ার বিছানা করবেন না। আর খেয়াল করে বারে বারে জল খাওয়াতে হবে পোষ্যকে। পোষ্যের সামনে জল ভরা পাত্র রেখে দিন। তা হলে নিজেই খেয়ে নিতে পারবে। পাত্র খালি হয়ে যাওয়া মাত্রেই জল ভরে দিন।
বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যাওয়ার সময়
দুপুরের পর পোষ্যকে অনেকেই হাঁটাতে নিয়ে যান। তবে এই গরমে পোষ্যকে নিয়ে বেরোনোর সময়ে বদল আনতে হবে। রোদের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার আগেই হাঁটাতে নিয়ে যেতে পারেন। খুব ভোরে বা সন্ধ্যার পরে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে পোষ্যকে নিয়ে বাইরে না বেরোনোই শ্রেয়।