প্রতীকী ছবি।
যে সব বাবা-মায়ের একের বেশি সন্তান, তাঁদের উপর দায়িত্ব খানিক বেশি। শুধু সন্তান প্রতিপালন নয়, লক্ষ্য রাখতে হবে দুই সন্তানের পারস্পরিক সম্পর্কের উপর। অনেক সময় দেখা যায় দু’জন একে অপরের প্রতি হিংসাত্মক মনোভাব প্রকাশ করছে। খেয়াল করা জরুরি পরস্পরের প্রতি যেন কেউ অসহিষ্ণু হয়ে না পড়ে। কাজটি খুব সহজ সাধ্য নয়। তবে কয়েকটি বিষয়ে চিহ্নিত করে সমাধানের পথে এগোতে হবে। খেয়াল করুন আপনার দুই সন্তান কি সব সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে বুঝতে হবে তারা একে অপরকে হিংসা করছে। বেশি দিন এ রকম চলতে দেওয়া উচিত নয়। বয়স যত গড়াবে, এই সমস্যা আরও বড় আকার ধারণ করবে। বাবা-মায়েরা জেনে নিন, কোন পথে এগোলে এই সমস্যা রোধ করা যায়—
বাবা-মায়েরা জেনে নিন, কোন পথে এগোলে এই সমস্যা রোধ করা যায়—
• বড় সন্তান যখন তার ভাই অথবা বোনের জন্য কিছু করবে, আপনি তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিন। পরবর্তী ক্ষেত্রে ছোটজনও সেটা মনে রেখে সেটাই করবে।
• সব সময় উৎসাহ দিন যেন তারা পরস্পর ঝগড়া করার পরিবর্তে মিলেমিশে থাকে।
• দু’জনের মধ্যে কোনও এক জনের প্রতি বেশি নজর দেবেন না। দু’জনের প্রতিই আপনার আচরণ যেন সমান থাকে।
• আপনার সন্তানকে তার ভাই বোন বা বাড়ির অন্য সদস্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শেখান। যা ভবিষ্যতেও এক জন ভাল মানুষ হতে সাহায্য করবে।
• দু’জনের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিন। কাজটি শেষ করতে কোনও সাহায্য করবেন না। বরং সুযোগ করে দিন, যাতে একে অপরের প্রতি সাহায্য নিয়ে কাজটি করে।
• দুই সন্তানের মধ্যে কোনও সমস্যা চোখে পড়লে, দু’জনের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করুন। সমস্যার কারণ জানতে চান।
• এমন কিছু করুন যাতে কিছু বিষয়ে পরস্পরের প্রতি তারা নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। নির্ভরশীলতা হিংসার মেঘ কাটিয়ে এক রাশ ভালবাসা এনে দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy