১৭ শহরে মদ বিক্রি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
গোটা মধ্যপ্রদেশে মদ নিষিদ্ধকরণের পথে এগোচ্ছে সে রাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকার। ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়া করতে চাইছে তারা। প্রথম ধাপে রাজ্যের ১৭টি জায়গায় মদের দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। বৃহস্পতিবারই এ বিষয়ে আভাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রথম দফায় ১৭টি শহরে মদের দোকান বন্ধ করানো হবে। এই দোকানগুলি অন্য কোনও জায়গায় সরানোও যাবে না। দোকানগুলি পুরোপুরি বন্ধ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তালিকায় রয়েছে উজ্জয়িনী, চিত্রকূট, অমরকণ্টক, দাতিয়া, পান্না, মণ্ডলা, মুলতাই, মন্দসৌর, মৈহার, ওমকারেশ্বর, মণ্ডলেশ্বর, ওর্চা, মহেশ্বর শহর এবং ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার চাইছে আগামী দিনে গোটা রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করার পথে এগোতে। সেই মতো ধাপে ধাপে এগোনো হচ্ছে। এই ১৭টি জায়গার পুরসভা বা পঞ্চায়েত এলাকায় আর কোনও মদের দোকান থাকবে না। বস্তুত, মধ্যপ্রদেশে প্রায় তিন দশক ধরে মদ নিষিদ্ধকরণের দাবি উঠে আসছে। অতীতে দিগ্বিজয় সিংহের কংগ্রেস সরকারের সময়েও এই দাবি তুলেছিলেন তাঁরই দলের বিধায়ক সুভাষ যাদব। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং দলীয় বিধায়কের দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে এসেছিল ওই সময়ে। উমা ভারতী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অমরকণ্টক এবং মহেশ্বর শহরে মদ এবং মাংসের বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিলেন। পরে শিবরাজ সিংহ চৌহান ওই নিষেধাজ্ঞার পরিধি উজ্জয়িনী-সহ আরও কিছু শহরে বর্ধিত করেন।
বিহারে দীর্ঘদিন মদ নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে তাতে কতটা সুরাহা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। মদ নিষিদ্ধ থাকার কারণে লুকিয়ে ‘বিষমদ’ (ঘরোয়া উপায়ে তৈরি মদ, যেখানে বিভিন্ন উপকরণ সঠিক অনুপাতে মাপজোক হয় না) বিক্রির খবর প্রায়শই প্রকাশ্যে আসে। ‘বিষমদ’ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে সেখানে। পুলিশি নজরদারির পরেও বিষমদ বিক্রিতে পুরোপুরি লাগাম টানতে পারেনি প্রশাসন। এই অবস্থায় মদ নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং প্রত্যাহারের দাবিও উঠেছে বিহারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy