বাগান পোষ্যের উপযোগী করে তুলবেন কী ভাবে? ছবি:ফ্রিপিক।
বাড়িতে পোষ্য থাকলে সাবধান হতে হয় বাড়ির লোকেদেরও। পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি পোষ্যের জন্য ক্ষতিকর জিনিসপত্র রাখতে হয় নাগালের বাইরে। ঠিক তেমনই বাগান। সারমেয়কে নিয়ে নিয়মিত সেখানে ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা থাকলে, বাগানটিকেও করে তোলা দরকার পোষ্য-বান্ধব। কী ভাবে তা করবেন?
১. সব গাছই কিন্তু পোষ্যের জন্য ভাল নয়। লিলি, অ্যলো ভেরা, টিউলিপ, রডোডেনড্রন, অ্যাজ়িলিয়া, চন্দ্রমল্লিকা এই ধরনের গাছ থেকে পোষ্যদের দূরে রাখাই ভাল। তবে অ্যাস্টর, গোলাপ, সূর্যমুখী, জিনিয়ার মতো ফুল বেড়াল, কুকুরদের জন্য ক্ষতিকর নয়।
২. বাগানে যদি পোষ্যকে ঘোরাতে নিয়ে যেতে হয়, তা হলে গাছের কাছাকাছি শক্তপোক্ত বেড়াও দিয়ে রাখতে পারেন। তা হলে পছন্দের গাছ লাগালেও, পোষ্য সেই গাছের কাছে যেতে পারবে না।
৩. বাগানে বিভিন্ন গাছপালা ছাঁটতে হয়। ছোটখাটো শুকনো কাণ্ড, পাতা, ফুলের কুঁড়ি অনেক সময়ই অনেকে বাগানের এক পাশে সাময়িক ভাবে রেখে দেন। তবে বাগানকে পোষ্যের উপযোগী করে তুলতে হলে, এ কাজ করা যাবে না। কারণ, ছেঁটে ফেলা গোলাপের কাঁটা যুক্ত ডাঁটি যদি পোষ্য চিবিয়ে ফেলে, রক্তারক্তি কাণ্ড হবে। তা ছাড়া গাছের ডালের ছোট টুকরো পেলে পোষ্য খেলার চেষ্টা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে অসাবধানে লেগে গিয়ে বিপদ ঘটা আশ্চর্য নয়।
৪. বাগান পরিচর্যার জন্য ছুরি, কাটারি, খুরপি, কোদাল বা বৈদ্যুতিক কোনও জিনিস ফেলে রাখলেও, সকলের অলক্ষে পোষ্য সেগুলি নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। তাতে আঘাত লেগে যাতে পারে সারমেয়র।
৫. বাগানে কীটপতঙ্গ মারার জন্য, সার হিসেবে রাসায়নিকের ব্যবহার হয়। এগুলি কিন্তু শুধু মানুষ নয় কুকুর, বিড়ালের জন্যও ক্ষতিকর। চেষ্টা করা দরকার যাতে জৈব সার ব্যবহার করা যায়। তবে গাছে কীটনাশক ব্যবহারের সময় বা ওষুধ দেওয়ার পরেই সারমেয়কে বাগানে না আনাই ভাল।
৬. বাগানে পোষ্যের গড়াগড়ি দেওয়ার জন্য বা হাঁটাচলার জন্য জায়গা রাখতে পারলে ভাল। গাছের ভিড়ে তাদের অসুবিধা হতে পারে। বরং কিছুটা নরম পরিষ্কার ঘাস থাকলে সেখানে হুটোপাটি করতে পারবে বাড়ির চারপেয়ে সদস্যটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy