সন্তানধারণের সিদ্ধান্ত নিন ভেবেচিন্তে। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের পর যে প্রশ্নটি বার বার শুনতে হয়, তা হল, বয়স তো পেরিয়ে যাচ্ছে, কবে সন্তানধারণের পরিকল্পনা করছ? পারিবারিক অনুষ্ঠানে জেঠিমারাই হোন, কিংবা পাড়ার পুজোমণ্ডপে কাকিমা— নববিবাহিত কনেকে দেখলে, সবার মুখে মুখে যেন একই প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। বাইরে বেরোনোও যেন এক ত্রাস! কেবল মেয়েরাই নন, অনেক সময় ছেলেদেরও এমন নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আগে বিয়ের এক-দু’বছরের মধ্যেই পরিবার বাড়াতে চাইতেন বহু দম্পতি। তবে এখন সময় বদলেছে। পেশা, পড়াশোনা, দাম্পত্যজীবন, সব গুছিয়ে নিয়ে একটু দেরিতেই মা-বাবা হতে চান অধিকাংশ দম্পতি। তবে পারিপার্শ্বিক চাপ থেকে দূরে থাকবেন কী করে, সে কথা ভেবেই কি নাজেহাল হতে হচ্ছে?
১. প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলুন:
পরিবারের মানুষই হোন কিংবা প্রতিবেশী, যখনই কেউ এ ধরনের প্রশ্ন করবেন, চেষ্টা করুন সেই প্রসঙ্গটি সম্পূর্ণ রূপে এড়িয়ে চলতে। এমন কোনও কথা উঠলে অন্য কিছু নিয়ে কথা বলুন তাঁর সঙ্গে। তবে অভদ্রতা করে নয়, ভদ্র ভাবেই নিজের হাবভাবে তাঁকে বুঝিয়ে দিন, এই প্রশ্ন আপনি মোটেই পছন্দ করছেন না।
২. স্পষ্ট করে বলুন, এ বিষয় কথা বলতে আপনি স্বচ্ছন্দ নন:
আপনি যদি বাড়ির বড়দের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করতে স্বচ্ছন্দ বোধ না করেন, তা হলে সে বিষয়টি তাঁদের স্পষ্ট করে বলুন। এই সিদ্ধান্তটা যে একান্তই আপনার ও আপনার সঙ্গীর, সেটা তাঁদের বুঝিয়ে বলুন। স্পষ্ট করে বললে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যায়।
৩. স্বামীর সঙ্গে কথা বলুন:
যদি দেখেন, শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা সন্তানধারণের জন্য চাপ তৈরি করছেন, তা হলে স্বামী-স্ত্রী মিলে তাঁদের সঙ্গে গোটা বিষয়টি আলোচনা করুন। সঙ্গীকে নিজের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে বলুন। এই আলোচনায় যে আপনাদের দু’জনের মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে, সে বিষয়েও খোলাখুলি কথা বলুন পরিবারের সঙ্গে।
৪. পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই:
এক কানে শুনুন, অন্য কান দিয়ে বার করে দিন! এর থেকে ভাল কোনও পন্থা হয় না। মন শক্ত করুন। কোনও কথায় কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজের মন শান্ত রাখতে পারলে দেখবেন, কোনও কিছুই আপনাকে আর বিব্রত করবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy