হাসপাতালের সুপার ও চিকিৎসকদের আবাসন থেকে নার্সিং স্টাফদের আবাসনে জল সরবরাহ ব্যাহত। সে খবর পেয়ে দু’দিন আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মীরা কাজ করতে গিয়ে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কেব্লই কেটে ফেললেন। এর জেরে শনিবার গভীর রাত থেকে রবিবার সকাল ন’টা পর্যন্ত রামপুরহাট হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে প্রসুতি বিভাগ, সংক্রমণ ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হল।
এ দিকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের সুপার ও চিকিৎসকদের কোয়ার্টারেও জল সরবরাহ চালু করা যায়নি। এর ফলে চিকিৎসক থেকে রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতাল সুপার সুবোধ মণ্ডল বলেন, ‘‘চার দিন ধরে কোয়ার্টারে জল আসছে না। শুক্রবার জল সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করতে গিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মীরা বিদ্যুতের তার কেটে ফেলেছেন। এর ফলে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দফায় দফায় হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়। জেনারেটরের লাইনও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। শনিবার গভীর রাত ২টো নাগাদ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ, সংক্রমণ ওয়ার্ড, ইর্মাজেন্সি বিভাগের বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত হয়।’’
তিনি জানান, রাতেই ৫০০ টাকার মোমবাতি কেনা হয়। সেই মোমবাতিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আলো জ্বালানো হয়। সকালেই এসডিও, বিধায়ক থেকে সিএমওএইচদের বিষয়টি তিনি জানান। এ দিকে কোয়ার্টারে জল সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত থাকার জন্য চিকিৎসকদের একাংশ কাজ না করতে চেয়ে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পরে সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হয়। তবে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের সমস্ত কোয়ার্টারে জল সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা যায়নি।
হাসপাতালের চিকিৎসক আনন্দ মণ্ডল বলেন, ‘‘কোয়ার্টারে জল সরবরাহ চালু হয়নি। পানীয় জল পুরসভা জোগান দিলেও অন্যান্য প্রয়োজনে জল না পাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’’
অন্যদিকে রাত দুটোর পর হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগী থেকে আত্মীয়-পরিজনদের।
মাড়গ্রাম হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা জ্যোৎস্না বিবি বলেন, ‘‘মেয়ের শুক্রবার সিজার করে বাচ্চা হয়েছে। রাতে মেয়ের পাশে থাকতে হয়। শনিবার রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকতে হয়েছে। একে তো রাতে গরম, তার পরে মোমবাতির আলোয় কষ্ট আরও বেড়ে গিয়েছিল। তারপরে হাসপাতালের ওয়ার্ডের এতগুলো মানুষ রয়েছে। তাতে আরও গরম লাগছিল। গরমের মধ্যে বাচ্চাগুলো কাঁদছিল। কিন্তু আমাদের কিছুই করার ছিল না।” দুর্ভোগের নিয়ে রোগীর পরিবারদের ক্ষোভও এ দিন মেলে। অনেকেই সংবাদমাধ্যমের কাছে সে কথা বলেন।
জ্যোৎস্না বিবির মতো অস্বস্তিকর অবস্থা মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার শাবলদহ গ্রামের রানি দলুই, মুরারইয়ের সুফিয়া বেওয়াদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy