বাড়ি বসে কাজ করলে কী কী নিয়ম মানবেন? ফাইল চিত্র।
কঠিন করোনা পরিস্থিতিতে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বিষয়টির সঙ্গে সড়গড় হয়েছেন অনেকেই। লকডাউন পর্ব চলার সময়ে বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করতে হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেও বাড়ি বসে কাজ করার বিষয়টি চালু রয়েছে অনেক অফিসেই। অথবা বিশেষ প্রয়োজনে বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতিও দেওয়া হয় অনেক জায়গাতেই। কিন্তু সেখানেও কিছু সমস্যা এসে হাজির হয়েছে। বাড়ি বসে অফিসের কাজের মাঝে স্বাভাবিক ভাবেই ঢুকে পড়ে সংসারের নানা কাজ। অফিসের মিটিং সামলানোর পাশাপাশি দোকান-বাজার করা, রান্নাবান্না, ছেলেমেয়েদের ক্লাস সবই সামাল দিতে হয়। দু’দিক সামলাতে গিয়ে অনেক সময়েই অফিসের ভিডিয়ো মিটিং-এ যোগ দিতে দেরি হয়, অথবা কাজে ভুলভ্রান্তি হয়ে যায়। তাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মনে হতেই পারে যে আপনি বাড়ি বসে দেদার ফাঁকি দিচ্ছেন।
অতএব বাড়ি বসে কাজ করলে আপনাকে এমন ভাবে চলতে হবে যাতে বস বোঝেন যে আপনি অফিসের কাজটি যথাযথ ভাবেই করছেন এবং সময়ও দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে বসকে খুশি রাখার কিছু কৌশল জানা থাকলে সুবিধাই হবে।
যোগাযোগ রাখা জরুরি
বাড়ি থেকে কাজ করলে আপনি কখন কাজে বসছেন, কখন উঠছেন, সবটাই বসকে জানিয়ে রাখুন। কী কী কাজ করছেন তার তালিকা বানিয়ে সবচেয়ে আগে বসকে পাঠান। সারা দিনের জরুরি কাজ কোনটি আগে করবেন তা জেনে নিন। চটজলদি বসকে খুশি করার সহজতম উপায় বসের কথাকে অগ্রাধিকার দেওয়া। তাতে তাঁরও মনে হবে যে, আপনি ঠিকমতোই কাজটা করছেন। যোগাযোগ না রাখলে আপনি যতই পরিশ্রম করুন না কেন, আখেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মনে হতেই পারে যে আপনি কিছুই করেননি।
ভিডিয়ো মিটিং-এ দেরি নয়
‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ হলে দিনে অন্তত একবার ভিডিয়ো বা জ়ুম মিটিং হয় অনেক অফিসেই। সেখানে সঠিক সময়ে হাজির থাকুন। বাড়ি বসে কাজ মানেই বাড়ির পোশাকে থাকবেন না। ফর্মাল পোশাকেই থাকতে হবে। সেই মুহূর্তে বাড়িতে যতই দরকারি কাজ আসুক না কেন, অফিসের মিটিং-এর সময়টুকুকে প্রাধান্য দিন।
ঝটপট কাজ
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এক কাজ নিয়ে বসে থাকা কোনও বস্ই পছন্দ করেন না। চটপটে হতে না পারলে সাফল্যে পৌঁছনোর সিঁড়িটায় ধাপ কিন্তু বেড়েই যাবে। বাড়ি বসে কাজ করলেও আপনি যে চটপট কাজটি নির্ভুল ভাবে করছেন, তা বস্কে বোঝাতে হবে। নির্ধারিত সময়ে কী ভাবে দক্ষতার সঙ্গে চটজলদি কাজ করবেন সে ব্যাপারে আগে থেকে মাথায় ছক করে নিন।
বাড়ির কাজে বেশি সময় নয়
ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিন বাড়িতে থেকে দুপুরের খাবার খাওয়ার সুযোগ খুব বেশি হয় না। বাড়ির সকলের সঙ্গে পরিপাটি করে খাওয়াদাওয়া-আড্ডা সবটাই লোভনীয়। তা বলে অনেকটা সময় তাতেই ব্যয় করে ফেলবেন না। আপনি কখন উঠছেন তা বসকে জানিয়ে রাখুন। বিরতি নেওয়ার পরে ফের কখন কাজে বসছেন তা-ও জানান। দেরি হলে সেটিও বলে রাখুন। অফিসের কাজের সময়ে অন্য কাজ করবেন না।
কথা চলুক
কাজ নিয়ে কোনও জটিলতা এলে বা কোনও বিষয়ে অসুবিধা হলে বাড়িতে বসেই বস্ ও সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন। জটিলতা পুষে রেখে রেখে পরে ভুলভ্রান্তি হলে বসের রোষের মুখে পড়তে হবে। তার চেয়ে বস্কে জানিয়ে রাখুন আপনি সকলের সঙ্গে কথা বলেই কাজটি করছেন। প্রয়োজনে সেই কাজ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে রাখুন আগে থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy