কিছু খাবারে অরুচি? কী ক্ষতি হচ্ছে এর ফলে ছবি: সংগৃহীত
ছোটবেলায় অনেকেই নানা জিনিস খেতে চায় না। জোর করে খাওয়াতে গেলে কাঁদে, বায়না করে। সেই বায়নার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে বাবা-মায়েরাও সব ধরনের খাবার আর খাওয়ান না তাদের। ক্রমে ক্রমে সেটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। বয়স বেড়ে গেলেও অনেকের সেই অভ্যাস থেকে যায়। তখন আর সব ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস ফিরে আসে না।
কিন্তু এর ফলে কী কী বিপদ হতে পারে? অনেকেরই শরীরে পুষ্টির অভাব থেকে যেতে পারে। এমনকি মানসিক বিকাশও থেমে যেতে পারে।
কোনও একটি খাবারে কারও অসুবিধা হতেই পারে। কিন্তু লক্ষ্য রাখা উচিত, সেই জাতীয় সব খাবারই যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে যায়। কোনও শিশু যদি খুব বেছে বেছে খাবার খায়, তা হলে কয়েকটি লক্ষণের দিকে নজর রাখতে হবে।
• এক ধরনের সব খাবার বাদ পড়ে যাচ্ছে না তো? যেমন শিশুটি যদি দুধ খেতে না পারে, তা হলে দেখতে হবে, সে কি দুগ্ধজাত কোনও খাবারই খাচ্ছে না? সে ক্ষেত্রে পুষ্টির অভাব হতে পারে।
• বয়সের সঙ্গে সঠিক হারে বৃদ্ধি না হলে বুঝতে হবে খাওয়াদাওয়ায় সমস্যা থেকে যাচ্ছে।
• সারা ক্ষণ মন খারাপ থাকছে? কিংবা মাঝে মধ্যেই প্রচণ্ড উদ্বেগ হচ্ছে? বেছে বেছে খাওয়ার ফলে এই সমস্যা হতে পারে।
• খিদে কমে যাচ্ছে? তার কারণ এই বেছে বেছে খাওয়ার অভ্যাস হতে পারে।
আপাত ভাবে এই ধরনের খাবারের অভ্যাস বড় সমস্যা না হলেও, ভবিষ্যতে এর কারণে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি বিশেষ কোনও খাবার এড়িয়ে চলতে চলতে সে সম্পর্কে এমন আতঙ্ক তৈরি হতে পারে যে, সেটি দেখলেই শরীর খারাপ লাগতে পারে।
এই ধরনের অভ্যাস ধীরে ধীরে ত্যাগ করার পরামর্শই দেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনে রান্নার পদ্ধতিতে বদল আনতে বলেন। তাতেও লাভ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ারও দরকার হয়। না হলে শরীরের নানা অঙ্গে নানা সমস্যা বাড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy