গৃহবধূ থেকে শিল্পোদ্যোগী হয়ে ওঠার গল্প ছবি সৌজন্য: দ্য বেটার ইন্ডিয়া
পদার্থবিদ্যায় স্নাতক, বরাবরই ইচ্ছে ছিল জীবনে ‘বড়’ কিছু করার। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাননি কখনও। একটি ওষুধ সংস্থার হয়ে ঘুরে ঘুরে ওষুধ বিক্রি করতে হয়েছে, করেছেন গৃহশিক্ষিকার কাজও। কিন্তু স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ললিতা পাতিল। ২০১৬ সালে নিজের জন্য কিছু করতে চেয়েই শুরু করেন খাবার হোম ডেলিভারির ব্যবসা।
মাত্র আড়াই হাজার টাকা হাতে যাত্রা শুরু থানের বাসিন্দা ললিতার। ২ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন টিফিন কৌটো আর ৫০০ টাকা দিয়ে প্রচারের জন্য ছাপিয়েছিলেন কিছু লিফলেট। মূলত ছাত্র ও অফিসযাত্রীদের জন্য ঘরোয়া খাবার পরিবেশন করাই লক্ষ্য ছিল তাঁর। নামও রেখেছিলেন সে কথা মাথায় রেখেই— ‘ঘরাচি আঠাবান’। শুরুতে নিজের রান্নাঘর থেকে রান্না করেই ললিতা পৌঁছে দিতেন খাবার।
প্রথম প্রথম ঢিমেতালে চললেও হঠাৎ করেই বদলে যায় ললিতার জীবন। ললিতা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর গ্যাসের ব্যবসা। সরকারি গ্যাস সরবরাহ পরিষেবা বেড়ে যাওয়ায় আচমকাই লোকসান হতে শুরু করে তাঁদের ব্যবসায়। শেষ পর্যন্ত আর্থিক অনটন থেকে মুক্তি পেতে খাবারের ব্যবসাটি বড় করার দিকে মনোনিবেশ করেন ললিতা। ২০১৯ সালে নয়া শিল্পদ্যোগীদের জন্য আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় প্রায় ৭ লক্ষ টাকা জেতেন ললিতা। আর এই পুরস্কার মূল্য ব্যবহার করেই থানে রেল স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে শুরু করেন নিজের রেস্তোরাঁ।
মাত্র তিন বছরেই রেস্তোরাঁর বার্ষিক মুনাফা ছাড়িয়ে গিয়েছে এক কোটি টাকা। ললিতা জানিয়েছেন এখন আর একা নন তিনি। তাঁর অধীনে কাজ করছেন আরও দশ জন সর্বক্ষণের কর্মী। কিন্তু কী কী রয়েছে তাঁর ঘরাচি আঠাবনের মেনুতে? ললিতা জানিয়েছেন আমিষ-নিরামিষ দু’ধরনের খাবারই পাওয়া যায় তাঁর রেস্তোরাঁয়। পাওয়া যায় হরেক রকমের থালিও। দাম ৯০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy