সোমবার লন্ডনের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কলকাতাকে আর লন্ডন বানানো যাবে কি না, সে কথা থাক। লন্ডন কিন্তু কলকাতা হয়ে গিয়েছে। এ শহরের মতো সে শহরের বাসিন্দারাও গরমে ছটফট করছেন। কলকাতার চেয়েও তাপমাত্রা বেশি এখন লন্ডনে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ব্রিটেন আর ঠান্ডার দেশ নেই। এ বার গরম সহ্য করতে শিখতে হবে সে দেশের নাগরিকদেরও।
সোমবার লন্ডনের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতায় ৩২ ডিগ্রি। ব্রিটেনের হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, এ সপ্তাহে ৪০ ছাড়াবে সেখানকার তাপমাত্রা। সঙ্গে বইবে লু। অসুস্থতা, মৃত্যু— সবই বাড়বে। তাই আগে থেকে সতর্ক করা হচ্ছে নাগরিকদের। অতিরিক্ত গরমে কী ভাবে চলাফেরা করবেন, সে বিষয়ে আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সকলে এখনই সাবধান না হলে হাজার হাজার মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
এ শহরে ৪০ ডিগ্রি মাঝেমধ্যেই উঠে যায় তাপমাত্রা। তাতে অসুস্থতা ও অস্বস্তি বাড়লেও এখানকার বাসিন্দারা গ্রীষ্ককালের এই পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত। প্রস্তুতিও তেমন থাকে ঘরে ঘরে। ব্রিটেন শীতপ্রধান দেশ। এ দেশে যেমন গরমে লেবুর জল, হালকা রান্না খাওয়ার চল রয়েছে ঘরে ঘরে, সে দেশের কেউ এমন ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নন। ফলে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা ভাবাচ্ছে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের। ‘লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স’-এর গ্রান্থাম ইনস্টিটিউটে আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা হয়। তাঁদের অভিযোগ, সরকারকে বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিন্তু সরকারি ভাবে গরম মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
সাধারণত এক দিন রোদ উঠলে লন্ডনে উৎসবের মেজাজ দেখা যায়। সে দেশের মানুষজন রোদ দেখে অভ্যস্ত নন। ফলে এক দিনের রোদে মন ভাল থাকে। গ্রীষ্ম সেখানে উদ্যাপন করার মরসুম। সকলে সমুদ্রের ধারে আড্ডা দিতে যান, আইসক্রিম খান। এ বারের গ্রীষ্ম আলাদা। গরমে নাজেহাল তাঁরা।
আবহাওয়াবিদদের সতর্কবার্তা, এ বার থেকে গ্রীষ্মকালের সংজ্ঞা বদলে যাচ্ছে। ব্রিটেনকে আর শীতের দেশ ভাবলে চলবে না। সেখানে গরমকাল এমনই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy