চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হয়ে গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস। এ দিকে এখনও স্কুলে পৌঁছোয়নি ভাষাভিত্তিক পাঠ্যবই। যদিও শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষ দিকেই স্কুলে স্কুলে বই পৌঁছে যাবে।
৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের ক্লাস। সেপ্টেম্বরে হবে তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা। অর্থাৎ হাতে রয়েছে মাত্র কয়েকটা মাস। এর মধ্যেই সিলেবাস সম্পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু যদি বই-ই না থাকে তবে সিলেবাস সম্পূর্ণ হবে কী ভাবে! এই প্রশ্নই শিক্ষক মহলে। যদিও তাঁদের ভরসা এখন অনলাইনে। সংসদের ওয়েবসাইটে পাঠ্যবইয়ের সফটকপি আপলোড করা রয়েছে। সেখান থেকে ডাউনলোড করে পড়াতে হচ্ছে যতদিন না বই আসছে।
আরও পড়ুন:
চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই মাসের তৃতীয় থেকে চতুর্থ সপ্তাহের মধ্যেই স্কুলে স্কুলে চলে যাবে বই। তবে যত দিন না পর্যন্ত বই মিলছে তত দিন অনলাইনে সংসদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে পড়তে পারবে পড়ুয়ারা।’’ এ ছাড়াও তিনি আরও জানিয়েছেন, ইংরেজির দ্বাদশের পাঠ্যক্রমে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। সেই পরিবর্তিত পাঠ্যক্রম ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলিকে তা ডাউনলোড করে নিতে হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বাংলা ও ইংরেজি বই শিক্ষা দফতরের তরফে বিনামূল্যের দেওয়া হয়। এই দুই বিষয়ের পাঠ্যক্রমে বেশ কিছু অংশ গতবারের থেকে অনেকটা পাল্টানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বাংলায় নতুন গল্প, কবিতা, নাটক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তৃতীয় সেমেস্টারে। পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘‘সংসদের ওয়েবসাইটে বই ডাউনলোড করার জন্য বলা হয়েছিল। আমরা তা ডাউনলোড করে ক্লাস করাচ্ছি। কিন্তু এরকম ভাবে ক্লাস করাতে যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে।’’
বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ৬২টি বিষয় পড়ানো হয়। তার মধ্যে ১৬টি কারিগরি বিষয় রয়েছে। শিক্ষা সংসদ অনুমোদিত টেক্সট বুক নম্বর (টিবি নম্বর) যুক্ত বই ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন স্কুলে ও বইয়ের দোকানে। তবে বাংলা, ইংরেজি-সহ ভাষাভিত্তিক ও শারীরশিক্ষার বই এখনও হাতে পায়নি পড়ুয়ারা। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এক দিকে শিক্ষক নেই, অন্য দিকে ভাষাভিত্তিক বইয়ের সমস্যা। সব মিলিয়ে পড়ুয়াদের সিলেবাস শেষ হবে কি করে তা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক মহল।’’
২০২৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের সেমেস্টার পদ্ধতিতে পড়াশোনা। পরিবর্তন হয়েছে পাঠ্যক্রমে। নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী তৃতীয় সেমেস্টার হবে এমসিকিউভিত্তিক। এর জন্য প্রয়োজন নতুন পাঠ্যবই। শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘এক দিকে সামনেই উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা। এ দিকে মূল বইগুলি আসেনি। শিক্ষকেরা ক্লাস কী করে করাবেন। তার উপর অতিরিক্ত গরমের ছুটি। দ্রুত বই পাঠানো দরকার’’।