১০, ২০ কেজি নয়। ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়েছিলেন ১৮ মাসে। যাঁর ওজন ঝরেছিল, তিনি ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী। তাঁকে সুঠাম চেহারার অধিকারী যিনি করেছিলেন, তিনি বিনোদ চান্না।
এক সময় অম্বানী পরিবারের ফিটনেস প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি। মুকেশ-ঘরনি নীতা অম্বানীর ১৮ কেজি ওজন কমার নেপথ্যেও ছিল বিনোদেরই পরামর্শ।
ভারতের একাধিক শিল্পপতি পরিবারের সদস্যেরা এবং সেই সঙ্গে তারকারাও যে ফিটনেস কোচের পরামর্শ মেনে চলেন, সেই বিনোদ এ বার শেখালেন কোন সময় কার্ডিয়ো করা দরকার।
ইদানীং বহু মানুষের মধ্যেই স্বাস্থ্যসচেতনতা বেড়েছে। বেড়েছে জিমের সংখ্যাও। কেউ চান মেদ গলাতে। কারও লক্ষ্য তারকাদের মতো পেশিবহুল দেহ তৈরি। কেউ আবার সুস্থ থাকার জন্যই শরীরচর্চা করেন। লক্ষ্য যাঁর যেমনই হোক না কেন, কার্ডিয়ো বা ‘কার্ডিয়োভাস্কুলার অ্যাকটিভিটি’র প্রয়োজন হয়।
হার্ট, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে, পেশি গঠনে, দেহ সবল রাখতে, মেদ ঝরাতে সাহায্য করে কার্ডিয়ো বা বিশেষ ধরনের শরীরচর্চা। বিনোদ বলছেন, তাঁর কাছে অনেকেই প্রশ্ন রাখেন কার্ডিয়ো করার সঠিক সময় কোনটি। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতেই সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি রিল পোস্ট করেছেন বিনোদ। কখন এবং কেন কার্ডিয়ো করা দরকার, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি রিলে।
জন আব্রাহাম, শিল্পা শেট্টি, বিবেক ওবেরয়-সহ একাধিক তারকার ফিটনেস প্রশিক্ষক বিনোদের কথায়, অনেকেই জানতে চান, ওজন তোলার আগে না পরে, কখন কার্ডিয়ো করবেন। তাঁর উত্তরে বিনোদ বলেন, ‘‘ওজন তোলার সময় বাড়তি শক্তির প্রয়োজন হয়। ক্লান্ত শরীরে নয়।’’ পেশিবহুল শরীর পেতে গেলে ওজন নিয়ে কসরত করতে হয়। তবে তাঁর মতে, ওজন নিয়ে শরীরচর্চার পরে কার্ডিয়ো করলে মেদ দ্রুত ঝরবে।
ওজন ঝরাতে সময়ের গুরুত্ব
কেন কার্ডিয়ো ওজন তোলার পরে করা দরকার, তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিনোদ। তিনি বলছেন, ‘‘ওজন নিয়ে শরীরচর্চা করার দু’-তিন দিন পর্যন্ত নিজে থেকেই ক্যালোরি ক্ষয় হতে থাকে। তবে কার্ডিয়োর ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা শরীরচর্চা করার সময়েই সীমিত থাকে।’’ তা ছাড়া, ওজন তোলার জন্য যেহেতু বাড়তি শক্তির দরকার হয়, কার্ডিয়ো করে হাঁপিয়ে গেলে এতে অসুবিধা হতে পারে।