বয়স ৫৭। অথচ অভিনেত্রীকে দেখে বোঝা অসম্ভব যে, তিনি পঞ্চাশের কোঠা পেরিয়েছেন। পেলব মসৃণ ত্বকে এখনও যৌবনের দীপ্তি। বহু চেষ্টা করেও যেখানে বয়সের চাকা আটকানো সহজ নয়, সেখানে এ বয়সেও বহু পুরুষ-হৃদয়ে ঝড় তোলেন মাধুরী দীক্ষিত। এমন টান টান ত্বক, প্রসাধনী ছাড়াও ত্বকের এমন ঔজ্জ্বল্য দেখে অনেকেই হতবাক হন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাধুরী তাঁর রূপচর্চা প্রসঙ্গে জানান, তিনি কী ভাবে ঘরোয়া উপাদানে তাঁর ত্বকের যত্ন নেন। বিশেষ করে ত্বকের গোলাপি আভা ধরে রাখতে ও ক্লান্তির ছাপ দূর করতে গোলাপজলেই ভরসা রাখেন তিনি।
মাধুরী জানিয়েছেন, গত ২০ বছরেরও বেশি গোলাপজলের টোনার দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করছেন তিনি। এই টোনার বানিয়ে নেন বাড়িতেই। আর তা মাখারও বিশেষ পদ্ধতি আছে। অভিনেত্রীর কথায়, অনেকেই সেই পদ্ধতি মানেন না বলেই ত্বকের দীপ্তি আসে না। কী ভাবে গোলাপজল বানিয়ে ব্যবহার করা যাবে, সে প্রণালী শিখিয়ে দিয়েছেন ‘ধক ধক গার্ল’।
কী ভাবে বানান গোলাপজল?
২ থেকে ৩টি টাটকা ফুলের পাপড়ি নিতে হবে। সেই সঙ্গে শুকিয়ে রাখা পাপড়ি আধ কাপের মতো নিতে হবে।
পাপড়ি ভাল করে ধুয়ে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে তার অর্ধেকটা জল দিয়ে ভর্তি করতে হবে। গোটা পাত্রটি কিন্তু কানায় কানায় ভর্তি করবেন না।
আরও পড়ুন:
এ বার পাত্রটি ঢাকা দিয়ে কম আঁচে ৩০ মিনিট ফোটাতে হবে।
জলের রং গোলাপি হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
জল ছেঁকে স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে ঘণ্টাখানেকের জন্য।
মাধুরী জানাচ্ছেন, একবার তৈরি করা গোলাপজল সাত দিনের মধ্যেই ব্যবহার করে ফেলতে হবে। এর বেশি দিন ফ্রিজে রাখা যাবে না।
কী ভাবে মাখবেন?
মাধুরী জানাচ্ছেন, গরম থেকে ফিরে বা বাইরে যাওয়ার আগে অনেকেই মুখ পরিষ্কার না করেই গোলাপজল ছিটিয়ে নেন। তার পর তুলো দিয়ে জোরে জোরে ত্বকে ঘষেন। এতে লাভ তো হয়ই না, উল্টে ত্বক আরও অপরিষ্কার হয়ে যায়।
গোলাপজল ব্যবহারের আগে ত্বক ভাল করে ক্লিনজ়িং মিল্ক দিয়ে বা জল দিয়েই পরিষ্কার করে নিতে হবে। মুখে যেন তৈলাক্ত ভাব না থাকে বা ময়লা জমে না থাকে।
মুখ পরিষ্কারের পরে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে নিয়ে তার পর গোলাপজল মাখতে হবে। তুলোয় করে অল্প পরিমাণ গোলাপ জলের টোনার নিয়ে ভাল করে মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে ১৫ মিনিট।
তুলো দিয়ে মুখ ঘষবেন না, স্বাভাবিক ভাবে শুকোতে দিতে হবে। টোনার শুকিয়ে গেলে তার পর সিরাম, ময়েশ্চারাইজ়ার বা সানস্ক্রিন মেখে বাকি মেকআপ সেরে নিতে হবে।
দিনের যে কোনও সময়েই গোলাপজলের টোনার ব্যবহার করা যাবে। তবে এই পদ্ধতি মেনে চললে তবেই উপকার হবে। গালের গোলাপি আভাও বজায় থাকবে।