অন্দরসজ্জার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সেই বাড়ির ব্যক্তিবিশেষের রুচি এবং পছন্দের ছাপ। গৃহসজ্জা মানে শুধু শৌখিন জিনিসপত্র ঘরের আনাচ-কানাচে রেখে দেওয়া নয়। বরং অন্দরসজ্জা শিল্পীরা বলেন, কোথায়, কোনটি, কী ভাবে রাখবেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।
শৌখিন জিনিস, বিভিন্ন রঙের জিনিস, কোথায় রাখলে ভাল লাগলে, কী ভাবে রাখলে তা দৃষ্টিনন্দন হবে, সেটা অনেক সময় বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠে। সে কারণেই অন্দরসজ্জায় প্রচলন হয়েছে ৩-৫-৭ রুল।
বিষয়টি কী?
এই নিয়ম বলছে, একই রকম জিনিস যদি একাধিক রাখতে হয়, তা হলে সেটি একসঙ্গে তিনটি, পাঁচটি অথবা সাতটি রাখলে দৃষ্টিনন্দন হবে। এখানে বিজোড় সংখ্যায় ঘর সাজানোর কথা বলা হয়েছে। ঠিক কোথা থেকে এই নিয়ম এসেছে তা স্পষ্ট না হলেও বলা হচ্ছে, এই নিয়ম চোখের পক্ষে সুখকর।
যেমন মোমবাতি সাজাবেন। কেউ টেবিলে একটি মোমবাতি ব্যবহার করতেই পারেন। তবে যদি দৈর্ঘ্যের হিসাবে বড় থেকে ছোট— এ ভাবে তা সাজানো যায়, দেখতে অন্য রকম লাগবে।
আরও পড়ুন:
অন্দরসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, যেমন ছবি। ধরা যাক, বড় দেওয়াল জুড়ে ছবি লাগানো হবে। একটি বড় ছবি অনেক সময় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে। তবে যদি না হয় দেওয়ালে তিনটি ছবি সাজানো যায়। আবার জায়গা বেশি থাকলে ৩-এর বদলে ৫ অথবা ৭টি ছবির সমন্বয়ও ভাল লাগবে।
একই নিয়ম প্রযোজ্য গাছ, ফুলদানির ক্ষেত্রেও। ৩-৫-৭ রুল বলছে টেবিলে সাজাতে হলে ২টি গাছ না রেখে অন্তত তিনটি গাছ সুন্দর করে সাজানো যায়। তবে টেবিলের তিন প্রান্তে নয়, সেগুলি রাখতে হবে নির্দিষ্ট দূরত্ব বরাবর, একই দিকে।

৩-৫-৭ এমন বিজোড় সংখ্যায় সাজাতে হবে।
একই রকম হতে হবে তিনটি জিনিস?
নিয়ম কিন্তু সে কথা বলছে না। যেমন শোয়ার ঘরে খাটের পাশের টেবিলটি সাজাবেন। টেবিল ল্যাম্পের পাশাপাশি সেখানে কোনও শৌখিন মূর্তি রাখতে পারেন। আবার একটি ছোট গাছ যোগ করতে পারেন। তবে সংখ্যায় সেটি ৩টি হলেই দেখলে ভাল লাগবে।
আবার সোফার কুশনের ক্ষেত্রে, জায়গা অনুযায়ী তিনটি অথবা পাঁচটি কুশন রাখুন। একই নিয়ম প্রযোজ্য খাটে কুশন এবং বালিশ রাখার ক্ষেত্রেও।