শীত হোক বা গ্রীষ্ম—চুল সবসময়েই রুক্ষ? তেল মাখছেন। চুল সোজা করার বৈদ্যুতিক যন্ত্রও ব্যবহার করেন না। তার পরেও চুল সেই শ্রীহীন!
এমনটা হয় অনেকেরই। তেল মাখার পরেও রুক্ষ ভাব কমে না। উল্টে চুলের ডগা ফেটে যায়। মোটেই চুল বাড়তে চায় না। এমন চুলের জন্য দরকার বাড়তি আর্দ্রতার। বিশেষ সুরক্ষা বর্মের। আর সে কারণেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বানিয়ে ফেলুন চুলের মাস্ক।
কলা: পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা শুধু মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় না। চুল নরম এবং মসৃণ করতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল: চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল। চুলে ময়েশ্চারাইজ়ারের পরত জোগায় ।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল: ডগা ফাটার কারণ হতে পারে পুষ্টির অভাব। ভিটামিন ই মাথার ত্বকে শুধু পুষ্টি জোগায় না, চুলে আর্দ্রতার জোগানও দেয়। চুল মসৃণ এবং সুন্দর রাখতে ভিটামিন ই ব্যবহার হয়।
পদ্ধতি: চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী কলার পরিমাণ বুঝতে হবে। একটি কাঁঠালি কলা চটকে নিন বা মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। যোগ করুন ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল। এর মধ্যে ভেঙে দিন ১টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল। তিন উপকরণ মিশিয়ে নিন।
মিশ্রণটি মাখতে হবে পরিষ্কার চুলে। মাথার ত্বকে এবং চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে হালকা হাতে মিনিট ২ মালিশ করুন। মিনিট পনেরো রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
ডগা ফাটা এড়াতে আর কী করবেন?
- সরাসরি চড়া রোদ যাতে চুলে না পড়ে সে জন্য ছাতা বা টুপি পরুন। ব্যবহার করতে পারেন লিভ-ইন কন্ডিশনার।
- অনেকে যন্ত্রের সাহায্য চুল শুকিয়ে নেন। অতিরিক্ত তাপ, যন্ত্রের গরম হাওয়াও ডগা ফাটার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। চুল এমনি শুকিয়ে নিন।
- এমন বালিশের ঢাকনা ব্যবহার করুন যা সুতির এবং নরম হয়। চুল যাতে বেশি ঘষা না খায় দেখতে হবে।
- চুলের রাসায়নিক যুক্ত রং ব্যবহার না করাই ভাল। এতেও চুল রুক্ষ হয়ে যায়।
- গরম জলে চুল ধুলেও এমন সমস্যা হতে পারে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার।