স্বাভাবিক ভাবে পেকে যাওয়া আমের সঙ্গে কৃত্রিম পদ্ধতিতে রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো আমের তফাত করা সহজ নয়। ছবি: সংগৃহীত।
গরম হল আমের মরসুম। গ্রীষ্মকাল অপছন্দের হলেও, আমের জন্য গরমকালের অস্বস্তিও মেনে নিতে রাজি অনেকেই। আমের সঙ্গে যাঁদের প্রাণের টান, সারা বছর এই সময়টির জন্য অপেক্ষা করেন তাঁরা। গ্রীষ্মে আমের গন্ধ ম-ম করে গোটা বাড়ি। বাজারে গেলেই আম কিনে আনতে ভোলেন না। বাজারে গিয়ে পাকা আম দেখলেই মন ভাল হয়ে যায় অনেকের। তবে পাকা আম দেখলেই তা সঙ্গে সঙ্গে ঝুলিতে ভরে নেওয়া কিন্তু ঠিক হবে না। কারণ, বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করেও আম পাকানো হয়। স্বাভাবিক ভাবে পেকে যাওয়া আমের সঙ্গে কৃত্রিম পদ্ধতিতে রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো আমের তফাত করা সহজ নয়। তবে চেনার কয়েকটি মাপকাঠি আছে। আম কেনার সময় সেগুলি মাথায় রাখলে ঠকতে হবে না।
আকার
ল্যাংড়া, হিমসাগর, আম্রপালি— আমের আকার ভিন্ন ভিন্ন হয়। রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমের আকার কিন্তু সাধারণত ছোট হয়। দোকানদার যতই মিষ্টি হবে বলে ছোট আম নেওয়ার কথা বলে থাকুন, ভুলেও তা শুনবেন না। আমের আকার খুব ছোট মনে হলে তা না কেনাই ভাল।
জলে ডুবিয়ে রাখুন
বাজার থেকে আম কিনে আনার পর অনেকেই তা জলে ডুবিয়ে রাখেন। আর এই পদ্ধতিতেই বোঝা যেতে পারে আম পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে কি না। যদি দেখেন আম জলে ডুবে যাচ্ছে, তা হলে বুঝবেন স্বাভাবিক নিয়মেই তা পেকেছে। যদি আম জলে না ডোবে, সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে, তা রাসায়নিক দিয়ে পাকানো।
আমের রং
বাইরে টুকটুকে হলুদ রং দেখে এক ঝুড়ি আম কিনে নেওয়া মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কেনার আগে আম একটু কেটে নিন। যদি দেখেন আমের গায়ে সবুজ আভা রয়েছে, তা হলে তা ভুলেও কিনবেন না। এই সবুজ আভার কারণ হতে পারে কার্বাইডের মতো রাসায়নিক পদার্থ।
আমের গায়ে চাপ দিয়ে দেখুন
হলুদ রং ধরেছে মানেই আম সত্যি সত্যি পেকে গিয়েছে, তা কিন্তু নয়। তা বোঝার একটি উপায় হল আমের উপর চাপ দিয়ে দেখা। চাপ দিয়ে যদি নরম লাগে, তা হলে তা পাকা আম বলেই ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি তা না হয়, তা হলে নিশ্চিত তা রাসায়নিক ব্যবহার করেই পাকানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy