চাইলে শখের বাগানে টবেই আলু চাষ করতে পারেন। ছবি: ফ্রিপিক।
বাজার থেকে যতই সব্জি কেনা হোক না কেন, বাড়ির বাগানে নিজের হাতে ফুল, ফল ফলানোর আনন্দই আলাদা। প্রতি দিনের যত্নে বেড়ে ওঠা কাঁচালঙ্কা গাছে যদি দু’টি কাঁচালঙ্কাও হয়, তাতেই যেন আনন্দ। লেবু হোক ডালিম, নিজের হাতে পরিচর্যা করা গাছে ফলা ফল খাওয়ার আলাদা ভাল লাগা থাকে। রকমারি সব্জি তো ফলিয়েছেন, এ বার আলু চাষ করে দেখবেন নাকি!
জল নিষ্কাশন
টবে আলু ফলাতে চান। ২৫ ইঞ্চির টব বেছে নিতে পারেন। আলুর গোড়ায় জল জমলে চাষে ক্ষতি হতে পারে।তাই প্রথমেই টবে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে নেওয়া দরকার। প্রথম ধাপে নুড়ি পাথর ও পরের ধাপে দিতে হবে বালি। এতে অতিরিক্ত জল মাটির নীচে চলে আসবে। আলুর গোড়া পচে যাবে না।
মাটি
দোআঁশ মাটিতে আলু চাষ ভাল হয়। এর সঙ্গে মিশিয়ে হবে জৈব সার। দিতে হবে সামান্য একটু বালি। মাটিতে ৪০ শতাংশ জৈব সার ও ১০ শতাংশ বালি মেলাতে হবে। আলু চাষের মাটিতে যাতে আলো-বাতাস খেলে, তা দেখতে হবে। মাটি যেন আলগা থাকে।
আলুর বীজ
ছোট আলু কয়েক দিন রাখলেই অঙ্কুর বার হয়। এ ক্ষেত্রে ভাল জাতের আলু নেওয়াটা জরুরি। চন্দ্রমুখী, জ্যোতি, পছন্দের যে কোনও আলু নিতে পারেন। ছোট আলু হলে গোটাই ব্যবহার করতে হবে। তবে বড় আলু হলে দু’ভাগ করে নিতে পারেন। অঙ্কুরিত অংশটি উপরিভাগে থাকবে। মাটির ১ থেকে ২ ইঞ্চি নীচে পুঁতে দিতে হবে অঙ্কুরিত আলু।এ ক্ষেত্রে অঙ্কুরিত অংশ-সহ পুরো আলুটি কিন্তু মাটির নীচেই থাকবে।
জল
সরাসরি জল না দিয়ে ঝাঁঝরির সাহায্যে জল দিলে মাটিতে গর্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আলুর চারা বেরোতে চার দিন থেকে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
সূর্যালোক
আলু চাষের জন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রয়োজন। অন্তত ৬ ঘণ্টা রোদ দরকার। পরিমাণমতো জল ও পরিবেশ পেলে ৩০ দিনের মধ্যেই আলু গাছ বেশ ভাল ভাবে বেড়ে যাবে। মোটামুটি ৯০ দিন পরে ফলন পাওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy