ঝড়ের সময়ে গাছেদের কী হবে? ছবি: সংগৃহীত।
বাগান ভর্তি গাছের শখ পূরণ হয়নি। তাতে কী? বারান্দাতেই একখানা ‘মিনি’ বাগান তৈরি করে ফেলেছেন। দিন-রাত তাদের যত্নআত্তি করেন। কোথাও একটা শুকনো পাতা পড়ে থাকতে দেখলেও তুলে ফেলে দেন। বেশি রোদ এলে সরিয়ে ছায়ায় রাখেন। আবার বৃষ্টিতে গাছের গোড়ায় যাতে জল না জমে সেই খেয়ালও রাখেন। তবে সবচেয়ে বেশি চিন্তা হয় বড় কোনও ঝড় বা ‘সাইক্লোন’ হলে।
কখন রেমাল হানা দেয়, বলা তো যায় না। আবহাওয়া দফতর তো আগাম সতর্কতা দিয়েই রেখেছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় রেমাল স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কথা রবিবার মধ্যরাতে। আম্পানের সময়ে বারান্দার অর্ধেকের বেশি গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ বার তাই আগে থেকেই কোমর বেঁধে লেগে পড়েছেন। বারান্দা থেকে সব টব সরিয়ে ঘরে নিয়ে যাবেন না কি বড় ত্রিপলের মতো জিনিস দিয়ে ঢেকে রাখবেন?
গাছ নিয়ে যাঁরা প্রতিনিয়ত চর্চা করেন, তাঁদের মত হল, টবগুলিকে ঘরের ভিতর নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে রাখা। চারা গাছ হলে তো একেবারেই ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। শুধু জল নয়, ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও তারা সহ্য করতে পারবে না। কিন্তু আকার, আয়তনে বড় টব তো বেশি নাড়াচাড়া করা যায় না। সে ক্ষেত্রে গাছের গোড়ার সঙ্গে পলিথিনের এক প্রান্ত ভাল করে বেঁধে দিন। পলিথিনের অন্য প্রান্ত মাটির টবের তলায় আটকে রাখুন। এতে গাছের গোড়ায় জল জমার ভয় থাকবে না। এই সময়ে অনেকেই গাছের গোড়ায় বেশ অনেকটা পরিমাণে শুকনো খড়-বিচালি দিয়ে রাখেন। এই পন্থাও বেশ কাজের। ঝড় কেটে গেলে পলিথিন বা খড় সরিয়ে নিলেই হবে।
মাটির টবে আজকাল অনেকেই শখ করে ফলের গাছ রোপন করেন। নিজের বাড়ির ছাদে বসানো সেই গাছ থেকে আম, পেয়ারা, জামরুল কিংবা কামরাঙা ঝুলতে দেখেও শান্তি। সেই গাছগুলি যদি বেশ আকারে বেশ বড়সড় হয়ে যায় তা হলে অন্যত্র তুলে নিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টকর। সে ক্ষেত্রে উঁচু দেওয়ালের ধার ঘেঁষে আগে থেকে সেই টবগুলিকে শুইয়ে দিতে পারেন। টবের দু’পাশে ইঁট সাজিয়ে ঠেকনা দিয়ে রাখুন। হাওয়ার দাপটে খুব বেশি নড়াচড়া করতে পারবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy