সব ঠিকঠাক চললে সোমবার বিকেলে বাংলা নববর্ষের প্রাক্-সন্ধ্যায় উদ্বোধন হবে কালীঘাট স্কাইওয়াকের। উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখের আগের দিন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতি বছরের মতো এ বারেও পুজো দিতে চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাট মন্দিরে যাবেন। পাশাপাশি কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার প্রমুখ। রবিবার থেকেই কালীঘাট মন্দির চত্বরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
কালীঘাট স্কাইওয়াকের পরিকল্পনা দীর্ঘ দিনের। কিন্তু সেই কাজে কখনও অন্তরায় হয়েছে করোনা সংক্রমণ, কখনও আবার নির্মাণকাজের নানা সমস্যা। কিন্তু শেষমেশ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ শুরুর আগের দিনই সেই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হবে। উল্লেখ্য, গত বছর কালীপুজোর আগেও স্কাইওয়াক উদ্বোধনের চেষ্টা করেছিল প্রশাসন। কিন্তু কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এ বার মার্চের শেষ সপ্তাহে কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলেই কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর। আর তাই পয়লা বৈশাখের উপহারস্বরূপ কালীঘাটে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন স্কাইওয়াকের দরজা।
আরও পড়ুন:
২০১৮ সালে স্কাইওয়াকের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হলেও, কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের স্কাইওয়াক তৈরির নির্দেশ দেন। কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। নির্মাণকাজ শুরু করে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দফায় দফায় লকডাউনের কারণে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ থমকে গিয়েছিল। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও, নিকাশি নালা ও পাইপলাইনের সমস্যার কারণেও বিলম্ব ঘটে। করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি কেটে যেতেই জোর কদমে শুরু হয় স্কাইওয়াক তৈরির কাজ। সেই নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় স্কাইওয়াক।
কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণে প্রাথমিক বাজেট ছিল ৭৭ কোটি টাকা। তবে কাজের বিলম্বের কারণে খরচ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৯০ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ এবং সাড়ে ১০ মিটার চওড়া এই স্কাইওয়াকটি পুণ্যার্থীদের মন্দিরে পৌঁছোনোর পথ সহজ করবে। স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য রিফিউজি হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যতীন দাস পার্কে। চার বছর পর, সম্প্রতি তাঁদের পুনর্বাসন দিয়ে কালীঘাটে তৈরি নতুন এসি মার্কেটে ফিরিয়ে এনে নয়া দোকান দেওয়া হয়েছে। কালীঘাটের আগে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যেতেও স্কাইওয়াক নির্মাণ করেছিল রাজ্য সরকার।