মাঠে ফুটবল খেলতে খেলতে ধড় থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল মাথা। তখন তরুণীর বয়স মাত্র ১৬। তার পর ৩০ বার অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। শেষ পর্যন্ত জো়ড়া লাগানো গিয়েছে মাথা। এই দীর্ঘ চিকিৎসা পদ্ধতি, সেই সঙ্গে তাঁর যাত্রা সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন মেগান কিং নামে ওই তরুণী। আমেরিকার বাসিন্দা তরুণীর এই গল্প শুনে বিস্মিত অনেকেই। কেউ তাঁকে বাহবা দিয়েছেন, কেউ তাঁর সহ্যশক্তিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
২০০৫ সালে ফুটবল খেলতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন মেগান। সে সময় তাঁর ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর গাঁটগুলি দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। আলগা হয়ে গিয়েছিল পেশি। সর্ব ক্ষণ অসম্ভব যন্ত্রণা হত। তার জেরেই হয়েছিল বিপত্তি। প্রায় ১০ বছর পরে চিকিৎসকেরা তাঁর সমস্যার কারণ বুঝতে পারেন। তাঁরা জানান, বিরল জিনগত রোগ ‘হাইপারমোবাইল এহলার’স-ডানলোস সিনড্রোম’ (এইচইডিএস) রয়েছে মেগানের। এর ফলে হাড়ের সঙ্গে পেশিকে ধরে রাখার কোলাজেন শরীরে তৈরি হয় না। তাই হাড় থেকে পেশি আলগা হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’-এর প্রতিবেদন বলছে, চিকিৎসকেরা একটি ধাতব যন্ত্র দিয়ে মেগানের ধড়ের সঙ্গে মাথা জুড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই যন্ত্র খুলতেই মেরুদণ্ড থেকে মাথা আবার আলগা হয়ে যায়। চিকিৎসাবিদ্যার ভাষায় একে বলে ‘আটলান্টো-অসিপিটাল ডিসলোকেশন’ (এওডি)। মেগান বলেন, ‘‘সে সময় পিছন দিকে হেলে বসতে হত। আমি দাঁড়াতে পারতাম না। ডান দিক কাঁপত।’’ এর পরে চিকিৎসকেরা আবার অস্ত্রোপচার করেন। প্রায় ৩৭ বার অস্ত্রোপচার হয়েছে মেগানের। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, মেগানের মেরুদণ্ডের হাড়গুড়ি জুড়ে দেন চিকিৎসকেরা। ফলে এখন তিনি আর মাথা নাড়তে পারেন না।