ছবি: সংগৃহীত।
উৎসব, পালাপার্বণের তো শেষ নেই! পুজোতেই হোক বা ঘর সাজাতে, বাড়িতে গাঁদা ফুলের মালা প্রায়ই আসে। দু’-এক দিনের মধ্যেই সেই ফুল শুকিয়ে যায়। বেশির ভাগ ফুলের গন্তব্য হয় আশপাশের পুকুর, ঝিল বা নদীর জল। তাতে কিন্তু জল দূষিত হয়। অথচ সেই ফুলগুলি থেকেই যে আবার চারা জন্মাতে পারে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। শীত আসার আগে বাজার থেকে গাঁদা গাছের চারা বা বীজ না কিনে ওই ফুলগুলিকেই কাজে লাগাতে পারেন।
ফুল থেকে কী ভাবে নতুন চারাগাছ জন্মাবে?
১) পুজোয় ব্যবহৃত ফুল ফেলে না দিয়ে একটি ঝুড়িতে সেগুলি সংগ্রহ করে রাখুন। খেয়াল রাখবেন, ফুল যেন খুব শুকনো না হয়।
২) এ বার দু’-তিন দিন ওই ভাবে রেখে দিন। জল বা রোদ, আলাদা করে কোনও কিছুরই প্রয়োজন নেই। চাইলে ঝুড়ির মধ্যে খবরের কাগজ বিছিয়ে তার উপরে ফুলগুলি রাখতে পারেন। ফুল ভাল ভাবে শুকিয়ে গেলে পাপড়ি থেকে বীজ আলাদা করতে সুবিধা হবে।
৩) হাত দিয়ে পাপড়ি, বৃন্ত আলাদা করে নিন। এই কাজটি করতে করতেই দেখতে পাবেন, কালো রঙের, পাতলা অনেকটা শুকনো পাপড়ির মতোই দেখতে বীজ রয়েছে।
৪) কোকোপিট, সামান্য নিমখোল, চারাগাছের উপযুক্ত ঝুরঝুরে মাটি প্রস্তুত করে রাখুন। ফুল থেকে বীজ সংগ্রহ করার পর ওই মাটিতেই সেগুলি ছড়িয়ে দিন।
৫) বীজ ছড়িয়ে দেওয়ার পর উপর থেকে আরও একটু মাটি দিয়ে দিন। এমন ভাবে মাটি দেবেন, যেন উপর থেকে খালি চোখে বীজগুলি দেখা না যায়।
৬) এ বার উপর থেকে জল হালকা স্প্রে করে দিতে হবে। তবে নিয়ম করে রোজ জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। উপর থেকে পাতলা, সুতির কাপড় চাপা দিয়ে রাখতে পারেন।
৭) প্রতি দিন ওই কাপড় সরিয়ে দেখতে হবে, মাটির জল পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছে কি না। টবের মাটি যদি একেবারে শুকিয়ে খটখট করে তা হলে আরও একটু জল স্প্রে করে দেওয়া দরকার।
৮) আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই বীজ থেকে চারাগাছ বেরিয়ে পড়বে। চাইলে সেই পাত্র থেকে চারাগাছগুলিকে অন্যত্র বসাতে পারেন, তবে আরও কিছু দিন পর।
৯) সঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে ৮ থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যেই গাছগুলি ফুলে ফুলে ভরে উঠবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy