তাহাউর রানার বিমান আমেরিকা থেকে দিল্লির মাটিতে নামার আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল রাজধানীর একাংশ। ২৬/১১ মুম্বই হামলার চক্রীকে বিমানবন্দর থেকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র দফতরে নিয়ে যাওয়ার পথে ছিল কড়া প্রহরা। তার আগে মায়ামি থেকে দিল্লির গতিপথেও ছিল বিশেষ বন্দোবস্ত। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে, গাল্ফস্ট্রিম জি৫৫০ বিমানে মায়ামি থেকে দিল্লি আনা হয়েছে রানাকে। মাঝে প্রায় ১১ ঘণ্টা থেমেছে সেই বিমান।
ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বুধবারই তাহাউরকে আনতে আমেরিকা পৌঁছে গিয়েছিল এনআইএ। স্থানীয় সময় রাত ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ মায়ামি ছেড়েছিল তাহাউরের বিমান। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট। এর পরে রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে নেমেছিল বিমানটি। তখন সেখানে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা। ভারতে তখন রাত সাড়ে ৯টা। ‘ইন্ডিয়া টুডে’ বলছে, বুখারেস্টে প্রায় ১১ ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল বিমানটি। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ বুখারেস্ট থেকে দিল্লির উদ্দেশে উড়েছিল গাল্ফস্ট্রিম। তখন ভারতে সময় ৮টা ৪৫ মিনিট। এর পরে দিল্লিতে অবতরণ করে সেই বিমান।
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, ভিয়েনার একটি চার্টার সংস্থা থেকে গাল্ফস্ট্রিম বিমানটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। মাঝারি মাপের ওই বিমানের ভিতরে ছিল বিলাসের যাবতীয় সরঞ্জাম। এনআইএ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের এবং এনএসজির একটি দল পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক রানাকে আমেরিকা থেকে ভারতে নিয়ে এসেছে।
ভারতে বিমানটি অবতরণের পরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা তাঁকে গ্রেফতার করেন। তাঁকে কোথায় রাখা হবে, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। একটি সূত্রের খবর, রানাকে দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত জিজ্ঞাসাবাদ কুঠুরিতে রাখা হবে তাঁকে। অন্য একটি সূত্রের খবর, দিল্লির তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত পাক বংশোদ্ভূত এই কানাডিয়ান ব্যবসায়ীকে। ২৬/১১ হামলার ঘটনায় রানার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, হত্যা, জালিয়াতি এবং বেআইনি গতিবিধি (প্রতিরোধ) আইন বা ইউএপিএ-র আওতায় অভিযোগ রয়েছে। দিল্লিতে পটিয়লা হাউস আদালতে তাঁকে হাজির করানো হয়েছে।