হ্যাকিং থেকে সাবধান ছবি: সংগৃহীত
প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন প্রতিনিয়ত বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে তার অপব্যবহারও। প্রযুক্তির এই ঢেউয়ে কমবেশি সকলেই এখন ব্যবহার করেন মোবাইল। আর এই মোবাইলকে কাজে লাগিয়েই হ্যাকাররা করে ফেলতে পারে সর্বনাশ। এমনকি শুধু ফোন নম্বর হাতাতে পারলেই হরেক রকম বিড়ম্বনা তৈরি করতে পারে হ্যাকাররা।
১। ব্যক্তিগত তথ্য
কেবল ফোন নম্বর ব্যবহার করে হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। বিশেষত অসুরক্ষিত ওয়েবসাইটে যাতায়াত থাকলে এই আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেকটাই। ব্যাঙ্কের তথ্য, ব্যক্তিগত ছবি ও পরিজনদের তথ্য হাতিয়ে এক দিকে যেমন টাকা পয়সা চুরি করে নিতে পারে হ্যাকাররা তেমনই ব্যক্তিগত তথ্য বন্ধক রেখে চাইতে পারে মুক্তিপণও।
২। অপব্যবহার
শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তথ্য হাতানোই নয়, নম্বর ব্যবহার করে হ্যাকাররা নানা ধরনের জোচ্চুরি ও নাশকতা মূলক কাজও করতে পারে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অজান্তেই তাঁর নম্বর ব্যবহার হতে পারে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে।
৩। স্পুফিং
অন্য কোনও নম্বর থেকে ফোন আসলেও মোবাইলে চুরি যাওয়া ফোন নম্বর ভেসে ওঠাকেই সহজ ভাষায় বলে স্পুফিং। এর ফলে যাঁর নম্বর চুরি গিয়েছে তাঁকে চেনেন এমন ব্যক্তিদের ঠকাতে সুবিধা হয়। ২০১৯ সালের তথ্য বলছে, শুধু ওই এক বছরেই গোটা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২৬০০ টি প্রতারণামূলক ফোন করা হয়েছে। এই ধরনের ফোন এতটাই বিপজ্জনক যে শুধু হ্যাঁ-না বললেও চুরি হয়ে যেতে পারে তথ্য।
৪। মেসেজ বার্তা
অনেক সময় নম্বর হাতিয়ে নেওয়ার পর সেই নম্বর ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতারণামূলক মেসেজ পাঠায় হ্যাকাররা। এই ধরনের মেসেজে হরেক রকমের লিঙ্ক থাকে। এক বার ওই লিঙ্কে চাপ দিলেই হ্যাক হয়ে যেতে পারে অপর ব্যক্তির ফোন। একে ফিশিং বলে।
৫। স্পাইওয়্যার
অনেক ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ক্ষতিকর সফ্টওয়্যার।
কাজেই যদি সন্দেহ হয় যে আপনার নম্বরটি হ্যাক হয়ে গিয়েছে, তবে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে কথা বলুন। দরকারে কিছু দিনের জন্য ব্লক করে দিতে বলুন নম্বর। যোগাযোগ করতে পারেন পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy