জলের অভাব রুখে দেবে চা। ছবি: সংগৃহীত।
দিনের হিসেবে ধরতে গেলে পুজো সবে শুরু। তবে এখন তো মহালয়ার পরের দিন থেকেই ঠাকুর দেখা শুরু হয়ে যায়। সপ্তমী, অষ্টমী বা নবমীর ভিড় এড়াতে তাই আগেভাগে রাত জেগে ঠাকুর দেখতে শুরু করেছেন। এ দিকে আবার উপোসের ঘটাও রয়েছে। অবাঙালিদের মধ্যে এই সময়ে ১০ দিন ধরে চলে নবরাত্রির পুজো। সেই উপলক্ষেও উপোস করেন অনেকে। চিকিৎসকেরা বলেন, ক্ষেত্র বিশেষে উপোস করা শরীরের জন্যে ভাল। তবে খাবার না খেলেও এই সময়ে শরীরে জলের ঘাটতি যেন না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। উপোস করে এবং রাত জেগে ঠাকুর দেখা— এই দুইয়ের প্রভাবে শরীর ডিহাইড্রেটেট হয়ে পড়তেই পারে। এই সময়ে জল, ফলের রস, লস্যি কিংবা ঘোলের পাশাপাশি বেশ কিছু ভেষজ চা রয়েছে, যেগুলিতে চুমুক দিলে রাত জাগার ক্লান্তি এবং শরীরে জলের ঘাটতি, দুই-ই পূরণ হবে।
১) ক্যামোমাইল টি
রাত জেগে ঠাকুর দেখে পরের দিন আবার উপোস। রাত জাগার ধকল তো রয়েছেই। সঙ্গে সারা দিন উপোস করলে শরীর ডিহাইড্রেটেট হয়ে যেতেই পারে। তাই বাড়ি ফিরেই চুমুক দিন ক্যামোমাইল চায়ে। এই চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্লান্তি দূর করে। তাড়াতাড়ি জল শোষণ করতেও সাহায্য করে।
২) তুলসী চা
তুলসীর গন্ধে মন তরতাজা হয়ে ওঠে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি শরীরে ইলেকট্রোলাইট উপাদানগুলির ভারসাম্য বজায় রাখে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই ভেষজ।
৩) লেবু চা
ঠাকুর দেখতে গিয়ে গরমে ঘেমে পিপাসায় ছাতি ফেটে যায়। ঠিক সেই সময়ে বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে ঠান্ডা জল বা ঠান্ডা নরম পানীয় খাওয়ার প্রবণতাই বেশি লক্ষ করা যায়। তবে শরীর ভাল রাখতে চাইলে ঠান্ডা নয়, খেতে হবে গরম পানীয়। খুব ভাল হয় এই সময়ে লেবু চা খেতে পারলে। ঠান্ডা জল খেলে তৎক্ষণাৎ যে আরাম হয়, তা হয়তো হবে না। কিন্তু ঠান্ডা পানীয়ে শরীরের যে ক্ষতি হতে পারে, লেবু চা খেলে তা হবে না। কিন্তু এটি শরীরে জলের অভাব পূরণ করবে আবার ক্লান্তিও কাটিয়ে দেবে।
৪) পুদিনা চা
ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়া হয়েছে। হজম, গ্যাস কিংবা পেটফাঁপার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুদিনা চায়ে চুমুক দিতেই পারেন। শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে এই চা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
৫) আদা চা
ঠাকুর দেখতে গিয়ে জল কম খাওয়া হয়েছে। হিল জুতো পরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পায়ের পেশিতে টান লাগতেই পারে। এই সময়ে আরাম দিতে পারে আদা দিয়ে তৈরি চা। পেশির প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এই চা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy