Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Restaurants and food joints near Suruchi Sangha durga puja

খাবারের ৭ ঠিকানা: সুরুচি সঙ্ঘে ঠাকুর দেখার ফাঁকে খুব খিদে পেলে ঢুঁ মারতে পারেন

পুজোর সময়ে কোথায় কোথায় ঠাকুর দেখবেন, তা যেমন ছকে রাখতে হয়, তেমনই আগে থেকে ভেবে রাখতে হয় কোথায়, কী খাবেন।

Where you can get lip smacking food near Suruchi Sangha Durga Puja Pandal hopping.

ভি়ড় ঠেলে ঢুকতে পারলে দেখতে পাবেন সুরুচি সঙ্ঘের এই প্রতিমা। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৫৯
Share: Save:

দক্ষিণ কলকাতার সেরা পুজো মণ্ডপগুলির মধ্যে অন্যতম হল সুরুচি সুরুচি সঙ্ঘ। এ বছর তারা পা দিল ৭০তম বর্ষে। মাতৃ আরাধনার পাশাপাশি প্রতি বছরই এখানে থাকে থিমের চমক ঘণ্টা দুয়েক লাইনে দাঁড়িয়ে, ভিড় ঠেলে, ঘেমেনেয়ে হলেও এই ক্লাবের ঠাকুর দেখা চাই-ই চাই। উদ্বোধনের দিন থেকেই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মণ্ডপ। ভিড়ের দাপট একটু কম থাকে সকালের দিকে কিন্তু আলোর খেলা দেখতে গেলে সন্ধে হওয়ার অপেক্ষা করতেই হয়। কিন্তু সন্ধে থেকে লাইন দিয়ে এই সব দেখে বেরোতে গিয়ে তো পেটে ছুঁচো ডন দিতেই পারে। সুরুচি সংঘের ঠাকুর দেখার পর কোথায় খেতে পারেন, রইল তার হদিস।

১) গুপ্ত ব্রাদার্স

পুজোর সময়ে রাস্তার আশপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠে রোল, চাউমিনের দোকান। এই ক’দিন বহু বাড়িতেই নিরামিষ খাবার খাওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু ভাল নিরামিষ খাবারের দোকান খুঁজতে গলদঘর্ম হতে হয়। নিউ আলিপুর ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের ঠিক উল্টো দিকে ঢুঁ দিতেই পারেন। শুধু পাওভাজি বা ছোলে বাটুরে নয়, এখানে রয়েছে মিষ্টির বিপুল সম্ভর। সুরুচি সঙ্ঘের ঠাকুর দেখে পায়ে হেঁটেই চলে আসতে পারেন এখানে।

২) জংশন এক্সপ্রেস

বন্ধুরা সকলে মিলে সুরুচি সঙ্ঘের ঠাকুর দেখতে যাবেন। কিন্তু হাতখরচ সীমিত। তারই মধ্যে অন্য বন্ধুদের চোখ এড়িয়ে বান্ধবীকে স্পেশ্যাল কিছু খাওয়াতে হবে। তা হলে আপনার ঠিকানা হতে পারে ফুড জাংশন। ম্যাগি থেকে শুরু করে ফ্রাইজ়, পিৎজ়া, বড়া পাও, মোমো কিংবা স্যান্ডউইচ— সবই পাওয়া যায়। খরচ নিতান্তই কম।

Where you can get lip smacking food near Suruchi Sangha Durga Puja Pandal hopping.

পুজোর সময়ে রাস্তার আশপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠে রোল, চাউমিনের দোকান। ছবি: সংগৃহীত।

৩) র‌্যাপ ‘এন’ গো

ঠাকুর দেখার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে খুব খিদে পেয়ে যেতেই পারে। তাই একেবারেই ঠাকুর দেখার পর খেতে যাওয়ার ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। তারাতলা থেকে সুরুচি সংঘ যাওয়ার পথেই আর্মি ব্যারাকের ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে এই টেক অ্যাওয়ে। রাস্তার ধারে বসে খেতে যদি অসুবিধে না থাকে তা হলে কবাব, বিরিয়ানি, বিভিন্ন ধরনের মুগলাই পরোটা, রোল, মুরগির বা খাসির চাঁপ কিংবা কষা— জমিয়ে খেয়ে নিতেই পারেন।

৪) রক অ্যান্ড রোল

সারা বছর যতই স্বাস্থ্য সচেতনতা দেখান না কেন, পুজোর সময়ে রাস্তার দু’ধার থেকে ভেসে আসা এগরোলের গন্ধে সেই দিকে চোখ যাবেই। তাই হাতে রোল নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে রোমন্থন করতেই পারেন কলেজ জীবনের স্মৃতি। চাউমিন বা রাইস উইথ চিলি চিকেন খেতে গেলে কিন্তু দোকানের পাশে রাখা বেঞ্চই ভরসা।

৫) সাউথ ইন্ডিয়ান ফ্লেভার্স

বাংলার মায়ের এত রূপ দেখার পর যদি হঠাৎ দক্ষিণী খাবার খেতে ইচ্ছে করে, তার ব্যবস্থাও আছে। নিউ আলিপুর পেট্রোল পাম্পের উল্টো দিকে রয়েছে এই সাউথ ইন্ডিয়ান ফুড জয়েন্টটি। দোসা, ইডলি, বড়া থেকে উত্থাপম— পছন্দ অনুযায়ী চেখে দেখতেই পারেন।

Where you can get lip smacking food near Suruchi Sangha Durga Puja Pandal hopping.

ঠাকুর দেখার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে খুব খিদে পেয়ে যেতেই পারে। ছবি: সংগৃহীত।

৬) মনজিনিস

সন্ধে ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ঠাকুর দেখে বেরোতে গিয়ে হঠাৎ দেখলেন ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা ছুঁইছুঁই। পরের দিনই সঙ্গীর জন্মদিন। কিন্তু পুজোর হুজুগে আলাদা করে কিচ্ছু পরিকল্পনা করতে পারেননি। তবে রাত ১২টায় কেক কেটে উদ্‌যাপন করতে চাইলে যেতে পারেন মনজিনিসে। ঠাকুর দেখার মাঝে একেবারে অন্য রকম একটা জন্মদিন উপহার দিতে পারেন সঙ্গীকে।

৭) হিম ক্রিম

লাইনে দাঁড়িয়ে ঠাকুর দেখবেন, কিন্তু আইসক্রিম খাবেন না, তো তো হয় না। তবে আইসক্রিমের গাড়ি থেকে নয়, যেতে চান কাছের কোনও আইসক্রিম পার্লারে। খাওয়াদাওয়া সেরে যদি আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করে, তা হলে নিউ আলিপুরেই রয়েছে হিম ক্রিম। এখানে এলে নানা ধরনের আইসক্রিম যেমন চেখে দেখতে পারবেন, তেমন পাবেন বিভিন্ন ফ্লেভারের মিল্কশেকও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy