জিম বা ব্যায়ামের জন্য সময় না পেলেও রোজের কাজের ফাঁকেই সারতে পারেন তা। ছবি: শাটারস্টক।
সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা বা ব্যায়ামের প্রয়োজনের কথা কে না জানে! অনেকেই এই কারণে নিয়ম করে জিমে যান বা যোগা করেন। কিন্তু কর্মব্যস্ততার চাপে সারা দিনে সময়ই বার করতে পারেন না এ সবের? চিন্তা নেই। নিয়ম করে জিম বা ব্যায়াম না করে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করলেও সহজে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়ার্ক আউট করে ফেলতে পারেন আপনিও।
অনেকের পক্ষেই সাংসারিক চাপ বা কর্মক্ষেত্রের ধরনের জন্য আলাদা করে ডায়েট মেনে চলার অবকাশ থাকে না। তা হলে কি শরীর সুস্থ রাখার মূল বিষয়গুলো থেকে পিছিয়ে পড়বেন? মোটেও না। বরং সারা দিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকেই কী ভাবে চালিয়ে যেতে পারেন প্রয়োজনীয় ওয়ার্ক আউট তা জেনে নিন।
অনেকেরই সকাল সকাল অফিস আসার তাড়া থাকে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই অফিসের জন্য তৈরি হতে হয়। সুতরাং সকালের প্রাতর্ভ্রমণ, শারীরিক কসরতের দফারফা। তবে উপায় আছে। বাসে-ট্রেনে অফিস যাওয়ার ফাঁকেই সেরে ফেলুন দরকারি কসরত। প্রতি দিন মিনিট দশেক সময় হাতে করে বেরোন। বাড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ড বা স্টেশন হেঁটে আসুন। যদি তাও খুব কাছে হয়, তা হলে অফিসের স্টপের দু’টি স্টপ আগে নেমে যান। বাকি রাস্তা পা চালিয়ে হেঁটে আসুন। ফেরার সময়ও মিনিট পনেরো হেঁটে ফেরার যানবাহন ধরুন। ঘাম ঝরিয়ে দু’বেলা মিনিট পনেরো হাঁটা প্রাতর্ভ্রমণের কাজ করবে।
আরও পড়ুন: আপনার কিনে আনা মাখনে ভেজাল মেশানো নেই তো? বুঝে যান এই ঘরোয়া উপায়ে
লিফ্ট নয়, যতটা পারবেন সিঁড়ি ভাঙুন। ছবি: আইস্টক।
অফিসে বাসে-ট্রেনে না গিয়ে অনেকেই মোটর বাইক বা অফিসের গাড়িতে যান। তেমন হলে, সারা দিন অফিসের মধ্যে মেনে চলুন কিছু জরুরি কৌশল। একই ভাবে হাতে সময় নিয়ে বেরোন। অফিস পোঁছে গাড়ি বা বাইক পার্ক করিয়ে অফিস চত্বরের চার পাশে মিনিট পনেরো হেঁটে নিন। ছুটির পরেও একই কাজ করুন। গাড়ি চালালে চেষ্টা করুন নিজে স্টিয়ারিংয়ে বসতে। এতে হাতের পেশীর ব্যায়াম হয়। কর্মক্ষেত্রে লিফ্ট থাকলেও শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া তা এড়িয়ে চলুন। যতটা পারবেন সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা করুন। প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর কারণে-অকারণে সিঁড়ি ভাঙুন। এই কাজে খুব একটা সময়ও যায় না। এতে পা ও কোমর ভাল রাখার যে সব ব্যায়াম রোজ হাতছাড়া হচ্ছে, তার ক্ষতি পুষিয়ে যাবে। দীর্ঘ ক্ষণ বসে কাজ হলে প্রতি এক ঘণ্টায় এক বার করে উঠুন। লন চত্বরে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ২০ বার করে ২ সেট করে জগিং করে নিন। মিনিট পাঁচেক সময় হাতে পেলেই যথেষ্ট। এতে দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজের জন্য পায়ের হাড়ের যে সব সমস্যা হয়, তা কাটবে।
আরও পড়ুন: আপনার মস্তিষ্ক কত জনের চেহারা মনে রাখতে পারে জানেন?
সিট পেলেই বসার অভ্যাসে রাশ টানুন। ট্রেনের হাতল ধরে দাঁড়ালে হাতের পেশীর ব্যায়াম হয়। ছবি: আইস্টক।
সিঁড়ি ভাঙার সময় মাঝে মাঝেই দুটো-তিনটে করে সিঁড়ি টপকে উঠুন। শরীর সোজা রেখে স্বাভাবিক গতিতে ওঠানামা করুন একবার। পরের বারই পা টানটান রেখে ধীর গতিতে উঠুন। এতে পেশীর পরিশ্রম বেশি হয়ে ক্যালোরি ঝরবে। বাড়ি থেকে খুব দূরে অফিস না হলে রিক্সা ছেড়ে সাইকেলে যাতায়াত শুরু করুন। সাইকেল চালাতে পারলে এর চেয়ে ভাল ব্যায়াম আর হয় না।
মেট্রো বা ট্রেনে যাতায়াত করেন? সব সময় সিট পেলেই বসবেন না। মাঝে মাঝে উপরের হাতল ধরে দাঁড়িয়ে আসুন। এতে কাঁধের পেশীতে চাপ পড়ে ক্যালোরি ঝরবে। (গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ)
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy