Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Durga Puja Celebration

পুজোয় সময় বাঁচিয়ে ঠাকুর দেখতে চান? তবে সঙ্গে থাকুক এ সব

পুজোর আগেই হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন এ সব। যাতে এতটুকু সময় বৃথা না যায়।

ঝামেলা এড়িয়ে ঠাকুর দেখতে যান এই পুজোয়।

ঝামেলা এড়িয়ে ঠাকুর দেখতে যান এই পুজোয়।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:০৩
Share: Save:

কলকাতায় পুজো মানে হইহই রইরই ব্যাপার। চার দিকে আলো, খুশি, ঢাক, প্যান্ডেল— সব মিলেমিশে একাকার। কিন্তু এর মধ্যে যদি আপনাকে রাস্তায় বেরিয়ে দীর্ঘক্ষণ জ্যামে বসে থাকতে হয়? অথবা সামান্য কিছুটা দুরত্ব যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি-ক্যাব অনেকটা ভাড়া চেয়ে বসে?

ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে বৃথা সময় নষ্ট মানেই ঠাকুর দেখার হিসাব কমে যাওয়া। টিকিটের লাইনে বা রাস্তায় অযথা সময় নষ্ট মানেই আড্ডা থেকে কমে যাবে এক একটা মুহূর্ত। তাই সে সব এড়াতে মাথায় রাখুন নিচের পাঁচটি বিষয়, তা হলে এই দেরির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই ।

পুজোর আগেই হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন এ সব। যাতে আপনার ঘোড়ায় জিন দিয়ে রাখা সময়ের এতটুকু বৃথা না যায়। দেখে নিন সে সব কী কী।

আরও পড়ুন: আপনার মোবাইলের বিমা করানো আছে তো?​

আরও পড়ুন: পুজোয় আপনার বোকা বাক্সকে এই ভাবে করে তুলুন স্মার্ট​

মেট্রো স্মার্ট কার্ড

যারা নিয়মিত মেট্রোয় যাতায়াত করেন, তাঁদের এ বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত এতে যাতায়াত করেন না, অথবা যাঁদের মেট্রো কার্ড নেই,তাঁরা আজই একটা মেট্রো কার্ড কিনে ফেলুন । পুজোর আর বেশি বাকি নেই, তাতেই প্রতি দিন মেট্রোয় যা ভিড়, আন্দাজ করে নিন পুজোর সময় কী হতে চলছে!তাই মেট্রোর গেট পর্যন্ত টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে যদি সময় না নষ্ট করতে চান, একটা মেট্রো কার্ড কিনে রিচার্জ করে ফেলুন । তার পর লাইনের তোয়াক্কা না করে সোজা গেট দিয়ে ঢুকুন, কার্ড পাঞ্চ করুন, মেট্রো চড়ুন, গন্তব্যে পৌঁছন তাড়াতাড়ি ।

রেলের মান্থলি

মেট্রোর কার্ডের মতো এই মান্থলি। মাত্র কিছু টাকা, আপনার পরিচয় পত্র এবং একটা ছবি দিলেই আপনি মান্থলি করিয়ে নিতে পারবেন। মেট্রোতে যেটা সুবিধা— আপনি একটা কার্ডের বিনিময়ে যেকোনও স্টেশন থেকে যেকোনও স্টেশনে যেতে পারবেন। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া কেটে নেবে আপনার কার্ড থেকে। ট্রেনের ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট দু’টি স্টেশনের উল্লেখ করতে হবে। যার মধ্যে আপনি ওই মান্থলি ব্যবহার করতে পারবেন। ধরা যাক, আপনাকে বাঘাযতীন থেকে বালিগঞ্জ নিয়মিত যেতে হয়, আবার বাঘাযতীন থেকে নিউ গড়িয়া যেতে হয় মেট্রো ধরতে। তাহলে একেবারে নিউ গড়িয়া থেকে শিয়ালদহর মান্থলি কেটে ফেলুন।কম মূল্যের এই মান্থলিতে এক মাসে আপনি অসংখ্যবার যাতায়াত করতে পারবেন এই স্টেশন গুলির মধ্যে। আর যদি সহজে দক্ষিণ থেকে উত্তরে যেতে হয়, মাত্র ৩০ মিনিটে পৌছে দিতে পারে রেল।

আরও পড়ুন: দুর্গা পরিবারকে পাঁচ চালায় আনলেন কে?​

অ্যাপ ক্যাবের পাস কিনে রাখা

অনেক সময় কোনও উপায় থাকে না, এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতে গাড়ির ব্যবস্থা করতেই হয়। তার উপর একটা ক্যাব বুক করলেই যে ভাড়া চেয়ে বসে, তাতে ক্যাব বুক করার আগে ৫ বার ভাবতে হয়! কিন্তু কলকাতা শহরে প্রধান যে দুটো ক্যাব চলে— দুটেরই পাস-এর ব্যবস্থা আছে । এই পাস সিস্টেমের মূল বিষয় হল, যে দুরত্বে যেতে আগে বেশি ভাড়া লাগছিল, সেটা যেতে এবার আগের থেকে অনেক কম লাগবে। সাধারণত একবার কিনলে নির্দিষ্ট কয়েক বার ব্যবহার করা যায়। এক মাসের বৈধতা থাকে। কখনও দূরত্ব ধরে পাস থাকে, কখনও অঞ্চল হিসাবে। তবে যাই-ই হোক, আরামদায়ক এসি ক্যাবে করে যদি সস্তায় যাওয়া যায়, তার থেকে ভাল কিছুই নয়।

গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ।

ব্যাটারিচালিত স্কুটার

এবার সল্টলেক অঞ্চলে চালু হয়েছে নতুন ব্যাটারিচলতি স্কুটার ভাড়া দেওয়া। শহরে এর আগেও ইয়ো বাইক দেখা গিয়েছে, প্রায় শব্দহীন ওই যান এখন আর প্রায় দেখাই যায় না। লাইসেন্সের দরকার হত না বলে প্রায় সব বয়সের মানুষ যেকোনও পরিস্থিতিতে ব্যবহার করতে পারতেন এই স্কুটার। তার পর এখন এই প্রচেষ্টা। ঘন্টায় ৪৫ টাকার বিনিময় পেয়ে যাবেন এই স্কুটার। সত্যি বলতে, পুজোয় যা ভিড় হয় রাস্তায়, দু’-চাকার বাহন তখন সব থেকে সহজে জ্যাম কাটিয়ে এগতে পারে । বিশেষ এক কোম্পানির এই স্কুটার আপনি ভাড়া নিতে পারবেন বয়েস ১৮-র বেশি হলেই। প্রয়োজন পেটিএম অ্যাকাউন্টের সাহায্যেও ।

গুগল ম্যাপ

বাড়ি থেকে বেরনোর আগেই ঠিক করে ফেলুন, আজ কোন দিক দেখবেন। একবার ম্যাপ দেখে আন্দাজ করে নিন কোন রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়ার জ্যাম কী কী রকম! যদি সবুজ দেখায় রাস্তা— তার মানে, রাস্তা পরিষ্কার, কোনও জ্যাম নেই। যদি লাল দেখায়, বুঝবেন গাড়ি একেবারেই নড়ছে না বললেই চলে। সব সময় এই হিসাব বেদবাক্যের মতো না মিললেও সচরাচর এর বাইরে অন্য কোনও ভাল উপায়ও থাকে না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE