গরমের কারণে হতে পারে নানা সমস্যা। ছবি: শাটারস্টক
গরম পড়লেই আমাদের শরীরে নানা রকম অস্বস্তি শুরু হয়। একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি। কেন এগুলো হচ্ছে এবং কী করলে এই সমস্যাগুলোর হাত থেকে মুক্তি পাবেন, জেনে নিন।
ক্লান্তি
চড়া গরমে আমাদের শরীরের মেলাটনিন উৎপাদন কমিয়ে দেয়। মেলাটনিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তার মাত্রা কমে গেলে আমাদের শরীরের ক্লান্তিভাব বেশি হয়। এর অন্যতম কারণ, গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য ঘাম হওয়া প্রয়োজন। সেটা করতে শরীরের যথেষ্ট পরিশ্রম হয়। তাই শরীর অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ক্লান্তি কম করতে বাইরে বেরলে ছাতা নিয়ে বেরবেন। চোখে রোদচশমা ব্যবহার করতে পারেন।
ঘুম কম
শরীরে মেলাটোনিনের সংখ্যা কমে গেলে ঘুম আসতেও দেরী হবে। যেহেতু গ্রীষ্মে দিন বেশি বড়, সন্ধ্যের পর শরীর মানিয়ে নিতেও দেরী করে। তাই অনেক সময় রাতে ঘুম আসতে দেরী হয়। ঘুমের অন্ত্যত দু’ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ঘুমের সময় সঙ্গে ফোন বা অন্য কোনও গ্যাজেট সঙ্গে রাখবেন না।
ডিহাইড্রেশন
অত্যাধিক মাত্রায় ঘাম হলে শরীর থেকে সব জল বেরিয়ে যায়। তাতে পেটের সমস্যাও তৈরি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে পেট ফুলে থাকে অনেকের। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়, বেশি পরিংমাণে জল খাওয়া। বাড়ি ফিরে লেবু বা বেলের শরবত বা ডাবের জল খেতে পারেন। ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে মুক্তি পেতে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে এগুলো দারুণ উপকারী। তবে খুব বাড়াবাড়ি হলে ইলেকট্রোলাইট মিশ্রণ খেতে হবে।
শরীরে তাপমাত্রার সমস্য
বাড়িতে থাকলে আমরা সারাক্ষণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরেই থাকি। সেখান থেকে হঠাৎ যদি চড়া রোদে বেরোন, তাহলেই গণ্ডগোল। আপনার শরীর চট করে বাইরের তাপমাত্রার ফারাকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। তাতেই জ্বর, ঠান্ডালাগা, মাথাধরার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তাই দিনেরবেলা বাইরে বেরনোর অন্তত্য ১০-১৫ মিনিট আগে আপনার শীততাপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রটি বন্ধ করে দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy