দিন পনেরো হল ছোট্ট সারমেয় শাবক পরিবারের সদস্য হয়েছে। তাকে পেয়ে খুব খুশি তোতন। বাড়ির মধ্যেই তার থাকার ব্যবস্থা, বিছানা, সব আয়োজনই প্রস্তুত।
তবে বিদেশি ছবি দেখে তোতন চায় তাদের বাড়ির খুদে সদস্যের জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করতে। ছোট্ট এক টুকরো বাগানেই দু’টিতে খেলবে। সেখানেই থাকবে সারমেয়র ঘর। এমনিতে সকলের সঙ্গে বাড়িতে থাকলেও, কখনও কখনও সেই ঘরেও থাকবে সে।
পোষ্য কুকুরের জন্য নানা ধরনের ঘর এখন অনলাইনেই মেলে। চাইলে মিস্ত্রি ডেকে বাড়িতে তা বানিয়েও নেওয়া যায়। তবে সারমেয় শাবকের ঘর কেনা বা তৈরির আগে কয়েকটি বিষয় ভেবে রাখা দরকার।
১। পোষ্যের আকার এবং আয়তন বুঝে ঘর কেনা দরকার। যে প্রজাতির সারমেয় এনেছেন, সে লম্বায় সর্বোচ্চ কত বড় হতে পারে জেনে নিয়ে ঘরের আকার বাছতে হবে। তবে অতিরিক্ত বড় ঘর নয়, টানটান করে সারমেয় শুতে পারবে, এমন জায়গা থাকলেই হবে। ঘর দেখলেই যে সে সেখানে ঢুকতে চাইবে, এমনটা না-ও হতে পারে। ঘর কেনার আগে কার্ডবোর্ড বা পিচবোর্ডের বাক্স দিয়ে ঘর বানিয়ে কুকুরছানার মনে তার ঘর সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
২। প্লাস্টিক, কাঠ, জল নিরোধক কাপড়, ধাতব জিনিস দিয়েও পোষ্যের ঘর তৈরি করা যায়। কোনটি উপযোগী হবে এ ক্ষেত্রে, তা বোঝা দরকার। তোতন চেয়েছে বাগানে থাকবে তাদের আদরের কুট্টুসের ঘর। সে ক্ষেত্রে জলনিরোধী কাপড়ের মজবুত ‘ডগ হাউস’ বেছে নিতে পারেন। আবার কাঠ, প্লাইউড, প্লাস্টিক দিয়েও ঘর হয়। পোষ্য কতটা ছটফটে, শক্তিশালী, তার উপর গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তার জন্য কোনটি টেকসই, তা আন্দাজ করে নিতে হবে।
৩। সারমেয় ঘুরে বেড়ানো, খেলাধুলো পছন্দ করে। পাশাপাশি, আরামও চায়। পোষ্যের ঘরে তার উপযোগী বিছানার ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবেশ, বাইরের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করবে কোন ধরনের বিছানা তার জন্য উপযোগী।
৪। ঘরে যেমন দরজা, জানলা, ঘুলঘুলির দরকার হয় আলো-বাতাস চলাচলের জন্য, সারমেয়র ঘরের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম খাটে। ঘরের ভিতরে যাতে তার কষ্ট না হয়, দেখা দরকার।
সারমেয়র ঘরের প্রয়োজনীয়তা
কুকুর বাড়ির সকলের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করলেও, তার নিজের ঘর, জায়গায় সে নিজের মতো করে থাকতে পারে। স্বাধীন ভাবে সময় কাটাতে পারে। তবে পোষ্য যদি আলাদা ঘরে থাকে, তার প্রতি যত্নআত্তির অভাব যাতে না হয়, দেখা দরকার।