লকডাউনে শিখে নিতে পারেন জ্যাম বানানো। ছবি: সংগৃহীত
রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড-আক্রান্তদের সংখ্যা। তাই বহু মানুষ ফের ঘরমুখী। বেশির ভাগ অফিস যেগুলো খুলে গিয়েছিল, সেগুলো আবার বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ জারি করেছে। তা ছাড়াও সংক্রমণের হার দেখে বেশ কিছু মানুষ সচেতন হয়েছেন, এবং প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনোর কথা ভাবছেন না। তাই হাতে কিছুটা অবসর সময় পাওয়া যাচ্ছে। নতুন কী কী শিখে ফেলা যায় এই সময়টায় জেনে নিন।
জ্যাম বানানো
গত বছর অনেকেই লকডাউনে রান্নায় মন দিয়েছিলেন। সিঙাড়া, মিষ্টি, বিরিয়ানির মতো যাবতীয় রান্না বাড়িতেই হয়ে যেত। এবং সেই রান্নার ছবি ভরে যেত নেটমাধ্যমে। এ বছর যাঁরা আর চেনা রান্নায় মন দিতে চান না, তাঁরা জ্যাম, জেলি, পাঁউরুটির মতো কিছু জিনিস বাড়িতে বানানোর চেষ্টা করতে পারেন। বাজারে আম এখন সহজলভ্য। কাঁচা আমের জ্যাম বানিয়ে ফেলতে পারেন।
অরিগ্যামি
রংবেরঙের চৌকো আকারের কাগজ মুড়ে মুড়ে বিভিন্ন পশুপাখী তৈরি করার জাপানি শিল্পকে বলা হয় অরিগ্যামি। নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় স্প্যানিশ সিরিজ ‘মানি হায়েস্ট’এর মুখ্য চরিত্রের অরিগ্যামি বানানোর সখ ছিল। চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে অনেকেই অরিগ্যামি শেখার দিকে ঝোঁকেন। আপনিও চেষ্টা করতে পারেন।
শুকনো ফুলের শিল্প
আগে প্রেমিক-প্রেমিকারা কাউকে ফুল দিলে সেটা বইয়ের মাঝে লুকিয়ে রাখতেন। বহুদিন পর বইটা খুললে সেই ফুল শুকিয়ে একটা অদ্ভুত অন্য রকম সৌন্দর্য তৈরি হতো। এখন সেটাই হয়ে গিয়েছে এক ধরনের শিল্প। নাম হয়েছে ‘ফ্লাওয়ার প্রেসিং’। এই পদ্ধতিতে ফুল-পাতা শুকিয়ে সেগুলো ব্যবহার করা হয় ঘর সাজানোর জিনিস অথবা গয়না তৈরি করার জন্য। একদম অন্য ধাঁচের এই হবি আপনিও চেষ্টা করতে পারেন।
কাঁথা তৈরি
দিদিমা-ঠাকুমারা এককালে নাতি-নাতনি হলেও কাঁথা সেলাই করতে বসে যেতেন। সারাদিনের কাজ সেরে দুপুরবেলা রোদে চুল শুকোতে শুকোতে কাঁথা তৈরি করতেন। কিন্তু যে শিল্প আগে ঘরে ঘরে হতো, তা এখন শুধু বুটিক-শো-রুমের পশারেই মজুত। তাই কাঁথা সেলাইটা আপনি শিখে ফেলতে পারেন এই সুযোগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy