ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নজর দিতে হবে প্রসাধনীর মেয়াদের উপর। ছবি: সংগৃহীত।
জামা, জুতো কেনার পাশাপাশি পুজোর আগে প্রসাধনী কেনার হিড়িক দেখা যায় অনেকের মধ্যে। আবার ক্রেতাদের কথা মাথা রেখে বছরজুড়ে বিভিন্ন সময়ে নানা রকম ছাড় দেয় অনলাইন সাইটগুলি। সেই সব প্রলোভনে পা দিয়ে প্রায়ই কিনে ফেলেন ক্রিম, শ্যাম্পু, সাবান। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, গাদা-গুচ্ছের পয়সা খরচ করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রসাধনী কিনে ফেলারও ভাল কিছু দিক আছে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নজর দিতে হবে প্রসাধনীর মেয়াদের উপর। শেষ না হলেও তা ফেলে দিতে হবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর।
কোন প্রসাধনীর মেয়াদ কত দিন?
১) ক্লিনজ়ার
ত্বকে ধুলো-ময়লা, তেলের আস্তরণ তুলে ফেলতে সাহায্য করে যে ক্লিনজ়ার, তা বদলে ফেলা উচিত প্রতি ৮ মাস অন্তর। বেশি দিন রেখে দেওয়া প্রসাধনীর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। তাই যতই ছাড় দিক না কেন, সস্তায় বড় একটি বোতল কিনে ফেলা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
২) সানস্ক্রিন
এ ধরনের ক্রিমে বেশ কিছু সক্রিয় উপাদান থাকে। সেগুলির মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। আলো, জল, হাওয়া লেগে সেই উপাদানগুলি অক্সিডাইস হয়ে যায়। ফলে সানস্ক্রিন মেখে রোদে বেরোলেও তা কোনও কাজে লাগে না। রোদে ত্বক পুড়ে ক্ষতি হতেই থাকে। তাই প্যাকিং হওয়ার এক বছরের মধ্যে তা বদলে ফেলা ভাল।
৩) ফেস ক্রিম
সানস্ক্রিনের মতোই মুখে মাখার ক্রিমও এক বছরের মধ্যেই বদলে ফেলা উচিত। আলো, জল, হাওয়া লেগে এই প্রসাধনীও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তা মুখে মাখলে ত্বকের সমস্যা কিন্তু কেউ রুখতে পারবে না।
৪) মেকআপ স্পঞ্জ
খুব প্রয়োজন না হলে মুখে মেকআপ করেন না। তাই মেকআপ করার ব্রাশ বা স্পঞ্জ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও কম। কিন্তু জিনিস নষ্ট হবে না বলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর তা পাল্টাবেন না। এমন অভ্যাসেও কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই এক বার ব্যবহার করলেও মাস তিনেকের বেশি একই ব্রাশ বা স্পঞ্জ ব্যবহার করা উচিত নয়।
৫) লুফা
প্রতি তিন মাস অন্তর বদলে ফেলতে হবে লুফা। সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়িতে সকলের স্নানের তোয়ালে আলাদা হলেও সাবান কিংবা লুফা কিন্তু একটিই। এক জনের স্নান সেরে বেরিয়ে আসার পর সেই ভিজে লুফা যদি অন্য জন ব্যবহার করেন, সে ক্ষেত্রেও ত্বকের সমস্যা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy