পোষ্যের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখেন? ছবি: সংগৃহীত।
দরজায় কারও আনাগোনা টের পেলেই দৌরাত্ম শুরু করে যে পোষ্য কুকুর, সেই সকাল থেকে ঝিমিয়ে পড়ে আছে। ডাকলেও উচ্চবাচ্য করছে না। খাওয়ার বিষয়েও অনীহা। শরীর খারাপ হল কি না, সেই ভেবে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলেন। কিন্তু চিকিৎসক যা বললেন, সে কথা শুনে তো তাজ্জব। কারণ, তিনি বলেছেন শরীর নয় পোষ্যের মন খারাপ হয়েছে। সাধারণ মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন করতে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর পালন করা হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। কিন্তু পোষ্যদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে নিয়ে মাথা ঘামান না কেউই। ‘দ্য আমেরিকান কেনেল ক্লাব’-এর দেওয়া তথ্য বলছে, কুকুরদেরও মানসিক অবসাদ আসে। উপর থেকে দেখে সাধারণ অসুস্থতা মনে হলেও তা আসলে মনখারাপ। কিন্তু কেন এমন হয়, তা জানেন?
১) শরীরচর্চা না করা
কাজ থেকে ফিরে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই বেশ কয়েক দিন হল তাকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যেতে পারছেন না। সকালে ছাদে পোষ্যেকে একটু শরীরচর্চা করান, তা-ও বন্ধ। চিকিৎসেকরা বলছেন, শরীরচর্চা না করলে কিন্তু মানুষের মতো পোষ্যেদেরও মন খারাপ হতে পারে। বাইরে ঘুরতে যেতে না পারলেও ছাদে বা বাড়ির বাগানে ঘুরলে অনেক ক্ষেত্রে উপকার হয়।
২) পোষ্যের মন না বোঝা
পোষ্যরা অবলা জীব। মুখে কিছু বলতে না পারলেও হাবভাবে অনেক কিছুই বুঝিয়ে দিতে চায়। কিন্তু তাদের ভাষা বুঝতে না পেরে যদি ক্রমাগত তাদের উপর জোর করে যান, সে ক্ষেত্রে তাদের মন খারাপ হতেই পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, পোষ্যদেরও নির্দিষ্ট গণ্ডি থাকে। তার বাইরে গিয়ে কিছু করতে তাদেরও সমস্যা হয়। সে বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
৩) অকারণে শাসন করা
‘দ্য আমেরিকান কেনেল ক্লাব’ থেকে পাওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, পোষ্য কুকুরকে কোনও কারণে বকলেও তার মন খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে যে কারণে পোষ্যকে শাসন করছেন, সেই বিষয়টি যদি বুঝতে না পারে, তা হলে মন খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy