ছবি: প্রতীকী
স্নান সেরে বেরিয়ে ড্রেসিং টেবিলে রাখা থাকে অনন্যার গায়ে মাখার ক্রিমটি। সেটি প্রায় রোজই ব্যবহার করেন পলাশ। অফিসে সারা ক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে থেকে গরমকালেও চামড়ায় বেশ টান ধরে। তাই এই ক্রিম মাখলে আবারম হয়। বাড়ি ফিরে মুখ ধোয়ার সময়েও সেই স্ত্রী অনন্যার জিনিসই ভরসা। নিজের জন্য আলাদা করে প্রসাধনী কেনার কথা কোনও দিনই মনে হয়নি পলাশের। তাঁর ধারণা, ফেসওয়াশ পুরুষদের জন্য হোক বা মহিলাদের, কাজ তো সেই একই। মুখ পরিষ্কার করা। তবে এখন বিভিন্ন সংস্থা পুরুষদের জন্যে আলাদা করে প্রসাধনী তৈরি করে। অনেকেই মনে করেন, এই আলাদা করে প্রসাধনী তৈরি করা ব্যবসায়িক স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই নয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলার আগে ত্বকচর্চা নিয়ে কিছু বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন। ত্বকচর্চা করতে গেলে সাধারণত তিনটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল ‘ক্লিনজ়িং’, ‘টোনিং’ এবং ‘ময়েশ্চারাইজ়িং’। নারী বা পুরুষ, সকলের ক্ষেত্রেই বিষয়টি এক। ত্বকের ধরন, সমস্যা, বয়স এবং আবহাওয়ার রকমফেরে প্রসাধনীর ধরনও বদলে যেতে পারে।
এ বার প্রশ্ন হল, মহিলাদের প্রসাধনী পুরুষেরা ব্যবহার করতে পারেন কিনা। সাধারণত মহিলাদের ত্বক পুরুষদের তুলনায় বেশিই কোমল। তাই মহিলাদের জন্য তৈরি প্রসাধনীগুলি পুরুষদের ক্ষেত্রে খুব একটা কার্যকর না-ও হতে পারে। তা ছাড়া, পুরুষ এবং মহিলাদের হরমোনের তারতম্যও রয়েছে। যা ত্বকের উপর আলাদা ভাবে প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ত্বক পুরু। তাই মাইল্ড কোনও প্রসাধনী তাদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত না-ও হতে পারে। তবে শুধু ক্রিম নয়, গায়ে মাখার সাবান, শ্যাম্পু বা ডিয়োডোরেন্টের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
তবে এমন কিছু সংস্থা রয়েছে, যারা মহিলা এবং পুরুষ, উভয়ের কথা মাথায় রেখে বিশেষ কিছু প্রসাধনী তৈরি করে। সে সব প্রসাধনী সকলেই ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে কারও ত্বক বা চুলের যদি গুরুতর কোনও সমস্যা থাকে, তবে প্রসাধনী আলাদা করে নেওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy