নখকুনি সারানোর ঘরোয়া টোটকা কী কী? ছবি: ফ্রিপিক।
বর্ষার জমা জলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ে পায়ের পাতায় ময়লা, কাদা লেগে যায়। জমা জল থেকে ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণও হয়। অনেকে তো আবার পায়ের নখও ঠিকমতো পরিষ্কার করেন না। ফলে নখের কোনায় ময়লা জমতে জমতে তার থেকেও সংক্রমণ হয়। নখের কোণা ফুলে ওঠে। নখের চারপাশের চামড়া ফুলে লাল হয়ে যায়। নখ কালচে হতে থাকে, পুঁজ জমা শুরু হয়। অনেক সময়ে নখে হলদেটে ছোপও পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়?
১) এক চা চামচ অলিভ তেলের সঙ্গে ২ চামচের মতো টি ট্রি তেল মিশিয়ে নিন। তুলোয় করে এই মিশ্রণ নিয়ে অল্প অল্প করে পায়ের নখের ক্ষত জায়গাটিতে ও তার চারপাশের ত্বকে লাগিয়ে নিন। নিয়ম করে লাগালে ফল পাবেন। তবে টি ট্রি তেল লাগানোর পরেই কিন্তু মোজা বা জুতো পরে নেবেন না। তাহলে তেল উঠে যাবে।
২) দাঁত পরিষ্কার রাখতে যেমন টুথপেস্টের ব্যবহার করা হয়, তেমনই নখ ঝকঝকে করতেও ব্যবহার করতে পারেন। একটি পুরনো টুথব্রাশে সামান্য মাজন নিয়ে নখে ভাল করে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। নিয়মিত করলে নখ পরিষ্কার থাকবে, ময়লা জমবে না।
৩) মুখে বা গায়ে যেমন আর্দ্রতার প্রয়োজন, তেমনই নখেরও। তাই রোজ রাতে যখন মুখে ময়শ্চারাইজ়ার লাগাবেন, তখন পায়ের পাতাতেও ভাল করে মালিশ করে নেবেন। এতে নখের চারপাশের ত্বক নরম ও আর্দ্র থাকবে।
৪) বার বার জলে হাত দিলে বা পায়ের পাতা ধুলে নখের ভিতরেও জল ঢুকে যায়। সেখান থেকে অনেকেরই নখকুনি হয়। এই সমস্যা এড়াতে চাইলে নখ ছোট করে কেটে রাখতে হবে। স্নান করার পর শুকনো করে মুছতে হবে।
৫) এক চামচ টি ট্রি তেলের সঙ্গে এক চামচ ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে নিন। এ বার তুলোয় করে এই মিশ্রণ নখের ফুলে ওঠা জায়গাটিতে লাগিয়ে নিন। এতে ক্ষতের জায়গাটিতে জ্বালাভাব অনেক কমে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy