রাসায়নিকযুক্ত রং ব্যবহার করলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
সালোঁয় গিয়ে খরচ করে এক-দু’বার চুলে রং করিয়েছেন। তবে চুলে রং করা তো এমন দুঃসাধ্য কিছু নয়। তাই বাজার থেকে রং কিনে নিজেই সেই কাজে লেগে পড়েছেন। সালোঁর দক্ষ কর্মীদের মতো রং মিশিয়ে, মাথায় সিঁথি কেটে, চুল ভাগ করে রং মেখেও ফেললেন। কিন্তু কিছু ক্ষণ পর থেকেই মাথায় কেন যে অস্বস্তি হতে শুরু করল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকলের ত্বকের ধরন সমান নয়। তাই রাসায়নিকযুক্ত রং ব্যবহার করলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। কারও ক্ষেত্রে শুধু ত্বক নয়, চোখ, নাক, মুখের বিভিন্ন অংশ ফুলে যেতে পারে, চুলকানি বা অনবরত জল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রং করার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
১) প্যাচ টেস্ট
সালোঁয় গিয়ে রং করুন বা বাড়িতে, পুরো চুলে লাগানোর আগে ত্বকের স্পর্শকাতর অংশে লাগিয়ে দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। রং থেকে হওয়া অ্যালার্জি এড়ানোর এটিই শ্রেষ্ঠ পন্থা।
২) নিয়ম না পড়া
বিভিন্ন রকম রাসায়নিক ব্যবহারের বিভিন্ন নিয়ম থাকে। তাই প্রতিটি প্যাকেটের ভিতর আলাদা করে নিয়মাবলিও দেওয়া থাকে। সে সব না পড়ে রং করতে শুরু করলে সমস্যা দেখা দিতেই পারে।
৩) রঙের উপর রং
আগে করা রঙের উপর আবার নতুন করে রং করলে তা-ও চুলের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রতি বার পুরো চুলে রং না করলেও চলে। চুলের ক্ষতি এড়াতে দ্বিতীয় বার শুধুমাত্র চুলের গোড়ায় রং করলেই কাজ হবে।
৪) কম দামি প্রসাধনী ব্যবহার করা
চুলের ক্ষতি না করে রং করতে গেলে একটু খরচ করতেই হবে। বাজারচলতি কম দামি রং ব্যবহার করলে চুলের গুণগত মান নষ্ট হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী একটু খরচ করে দামি রং ব্যবহার করাই ভাল।
৫) অতিরিক্ত রং ব্যবহার করা
চুলের ঘনত্ব এবং দৈর্ঘ্য অনুযায়ী যতটুকু রং প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। অতিরিক্ত রং ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy