ছবি: সংগৃহীত।
হাড় এবং দাঁত মজবুত করতে দুধ খাওয়া আবশ্যিক। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস হল দুধ। এ ছাড়া আরও নানা প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে দুধে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, শুধু স্বাস্থ্যের জন্যে নয়, দুধ ত্বকের জন্যেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে সে কথা।
১) পুষ্টিগুণে ভরপুর
দুধের মূল দু'টি উপাদান হল ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি। এই দুটি উপাদানের কারণেই ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর। ত্বকের মসৃণতা বজায় থাকে দুধের গুণেই।
২) দুধে রয়েছে রেটিনল
রেটিনল আসলে ভিটামিন এ-র একটি উপাদান। যা ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। দুধের মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই রেটিনল রয়েছে। যা ত্বকের উপর সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। মুখে বলিরেখা পড়ার গতিও শ্লথ করে।
৩) ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে
বয়সজনিত কারণে কোষ নষ্ট হওয়া রুখতে পারে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। দুধের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। যা ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে। দুধে থাকা প্রোটিন ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনেও সাহায্য করে।
দুধ খেলে ত্বকের কি কোনও ক্ষতি হয়?
যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের দুধ খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। অনেকের মুখেই অতিরিক্ত ব্রণের সমস্যা দেখা যায়। তাঁদেরকেও দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তবে শুধু দুধ নয়, দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, মাখন, চিজ়— ইনসুলিন, অ্যান্ড্রোজেন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ব্রণের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার জন্যে যা অনেকটাই দায়ী। তবে দুগ্ধজাত প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার যে হেতু অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে, তাই এগজ়িমা, সোরিয়োসিস, শ্বেতীর মতো ত্বকের সমস্যা এর দ্বারা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy